নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা বেশি চাল কিনব না, বেশি কিনলে আমাদের কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আবার গমও বাড়তি কিনব না যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি ও ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য আটটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি এবং সেতু বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অপর একটি প্রস্তাবে পুনঃদরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত ছয়টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর মেসার্স পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪১১ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা।
অন্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেই চাল ঠিকমতো দেশে ঢুকছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোনো সাপ্লায়ার তা সময়মতো দিতে পারে না তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।
মন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে একদম ইন্টিগ্রিটেড ওয়েতে দেখে কী পরিমাণ চাল দরকার। এগুলো নির্ধারণ হয় আমাদের প্রয়োজন এবং আগামীর প্রয়োজন, পরবর্তী ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।
অর্থনৈতিকবিষয়ক-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জি টু জি পদ্ধতিতে ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশনের অব ফার্মাস প্রকিউরমেন্ট প্রসেসিং অ্যান্ড রিটেলিং কো-অপারেটিভ লিমিটেড (এনএসিওএফ) থেকে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।