শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেশ কয়েকটি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্য দিয়ে মস্কো-বেইজিংয়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। খবর: সিএনবিসি।
দুই দেশের নেতারা বাণিজ্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও সামরিক খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক ডজনের বেশি নথিতে
স্বাক্ষর করেছেন। সফরকালে ক্রেমলিনে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই নেতা ইউক্রেনে শান্তির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে পুতিন বলেছেন, বিশ্ব শক্তিগুলো যারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং যাদের এ গ্রহের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে, তারা কীভাবে পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে এটি তার একটি উদাহরণ।
দুই জনের যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, রাশিয়া ও চীন ব্যাপক অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত মিথস্ক্রিয়ার একটি নতুন যুগে প্রবেশের মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
তারা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক সহয়োগিতার মূল ক্ষেত্রগুলোর জন্য একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুতিন ও শি পশ্চিমা দেশগুলোর কড়া সমালোচনা করেছেন।
চীনের নেতার মস্কো সফরকে ক্রেমলিন তাদের প্রতি সবচেয়ে প্রভাবশালী বন্ধুর সমর্থন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও নানা অনুষ্ঠানে ছিল দুই দেশের
মধ্যকার বর্তমানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রদর্শনী।
শি আর পুতিন একে অপরকে প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করেছেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে যেকোনো সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন তারা।
এক যৌথ ঘোষণায় তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণœ করছে, ন্যাটো তাদের এখতিয়ারে বাইরে গিয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নাক গলাচ্ছে।
সফর শেষে গতকাল বুধবার মস্কো ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তাদের বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের অবস্থান মোটেও নিরপেক্ষ নয়। রাশিয়াকে ইউক্রেনের সার্বভৌম অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করানোসহ যুদ্ধ বন্ধে মস্কোকে চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।