নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই সিরামিক খাতের কোম্পানি মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। গত ৪ ডিসেম্বর কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ১০৫ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ১৯ ডিসেম্বর লেনদেন হয় ১৪৩ টাকা ৪০ পয়সায়। এ হিসাবে মাত্র ১১ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৬৮ টাকা ৩০ পয়সা। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ১৪০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। এদিন ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭৮টি শেয়ার ৫ হাজার ৫১৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে মুন্নু সিরামিক। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা এক পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং রিজার্ভের পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ৩১৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৪০ দশমিক ১৯ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৯০২ দশমিক ৫০।