নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডস (বিএএস) অনুসরণ না করেই ব্যবসা করছে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বিএএস ৩৬ অনুযায়ী প্রপার্টি, প্লান্ট ও যন্ত্রপাতি প্রকাশ্যে পরীক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু কোম্পানির ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদনে এ ধরনের কোনো পরীক্ষার কথা উল্লেখ নেই।
এছাড়া কোম্পানিটি গ্র্যাচুইটি স্কিম পরিচালনা করেছে কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী। কিন্তু বিএএস অনুযায়ী এটি সঠিক মূল্যায়ন হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। গতকাল কোম্পানিটির চার হাজার ৪২২টি শেয়ার মোট ১৭২ বার লেনদেন হয়, যার বাজারদর ২৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে তিন দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বা ২০ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৫১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৬১ টাকা ৮০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন৬৫১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৩৫ টাকা থেকে ৮৬১ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে দায় দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৮১ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী আয় করেছে ৬১ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরেও ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর থেকে ১০ শতাংশ কম। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা আট পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে দায় ছিল ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৫৮ পয়সা ও ৩১ টাকা ৫১ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল এক কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল ৩২ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে দায় ছিল ৩৫ টাকা ৪৯ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৩৫ টাকা ৬৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকা। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ২০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার।