শেয়ার বিজ ডেস্ক: সামগ্রিকভাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের বিক্রি বেড়েছে। এ প্রান্তিকে আইফোনের বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেড় শতাংশ বেড়ে ৫১ দশমিক ৩ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার ১৩০ কোটি) ডলারে দাঁড়িয়েছে। খবর: বিবিসি।
কোম্পানিটি বলেছে, দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় ভালো চাহিদা থাকায় আইফোনের বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এদিকে ভারতে অ্যাপলে বিক্রিতে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে, কারণ দেশটিতে বড় বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।
গত মাসে ভারতে অ্যাপলের দুটি বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তিনি বলেছিলেন, ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিধি বাড়ছে। ফলে এখানে বড় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
গবেষণা সংস্থা আইডিসি ও কোয়ালকম বলছে, বছরের প্রথম তিন মাসে সামগ্রিক স্মার্টফোনের বাজার সংকুচিত হওয়ার কারণে আইফোনের বিক্রি বৃদ্ধি ছিল লক্ষণীয়।
টিম কুক বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ সত্ত্বেও মার্চ প্রান্তিকে আইফোনের রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।
তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী, আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আয় কমেছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় চলতি বছরের একই সময় কোম্পানিটির আয় তিন শতাংশ কমে ৯৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন (৯ হাজার ৪৮০ কোটি) মার্কিন ডলার হয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা ও পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অ্যাপলের কম্পিউটার ও আইপ্যাডের বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে কোম্পানিটির টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমল, যদিও অ্যাপলের পূর্বাভাসের তুলনায় তাদের আয় অতটা খারাপ নয়।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল বিনিয়োগকারীদের আগেই সতর্ক করেছিল, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের পণ্যের বিক্রি পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
এদিকে অ্যাপল ৯০ বিলিয়ন পর্যন্ত শেয়ার বাইব্যাক ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতির পর গত বৃহস্পতিবার আফটার আওয়ার ট্রেডিংয়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ।
অ্যাপল আগামী তিন মাসও বিক্রি হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে। এর অর্থ কোম্পানিটির ব্যবসা পুরো বছরই পতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।