আব্দুল্লাহ আল নোমান: দুপুরের পর সহস্রাধিক আসনের প্রায় সবগুলোই পূর্ণ হয়ে যায়। গত ২২ মে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ছিল এমন ভিড়। বলা হচ্ছে, ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপের কথা। জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষার মাধ্যম ‘১০ মিনিট স্কুল’-এর সার্বিক সহযোগিতায় শাবিপ্রবির অন্যতম সংগঠন ‘গ্র্যাজুয়েট ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক সাস্ট
(জিডিএন-সাস্ট)’ এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জিডিএন-সাস্টের সদস্য খালেদা আক্তার অঞ্জু ও সৌমেন দাশ।
কর্মশালায় টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক মূল বক্তা হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন। তিন ঘণ্টার এ আয়োজনে সফটওয়্যার দক্ষতা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, সফট স্কিল, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও প্রেজেন্টেশন দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াই সিলেটের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয় কর্মশালাটি। সংগঠনের সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীর উপকারে আসে এমন কিছু করা ইজিডিএন-সাস্টের লক্ষ্য। সংগঠনটির সভাপতি দীপাশ্রী ভৌমিকের কণ্ঠে যেন তারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে এমন কিছু করার চেষ্টা থাকে সবসময়। এরই ধারাবাহিকতায় এ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ। ১০ মিনিট স্কুল যেহেতু স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করে, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে সহায়ক কিছু নিয়ে তারা আবার সাস্টে আসুক।’
কর্মশালাটি শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াবে বলে মনে করেন একজন অংশগ্রহণকারী। শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজের শিক্ষার্থী আরাফ আহমদের ভাষায়, ‘পাওয়ার পয়েন্টের কাজ ও প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে সচরাচর যে ভুলগুলো করে থাকি সেটা কাটিয়ে উঠতে ওয়ার্কশপটি সহায়তা করবে। তবে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে আয়োজন করলে আরও ভালো হবে।’
গোছানো আয়োজন ও অংশগ্রহণকারীদের সাড়া দেখে খুশি ১০ মিনিট স্কুলও। তাই আয়মান বলেন, ‘এমন আয়োজনে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না! আমরা সাস্টে আবার আসবো। জিডিএন-সাস্ট পরিবারের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা। সবাই অনন্দে থাকুন, সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিন।’
শাবিপ্রবি ছাড়াও সিলেটের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আগমন কর্মশালাকে আরও সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করেন আয়োজকরা। অংশগ্রহণকারীরাও খুশি এমন উপহার পেয়ে। কর্মশালায় অংশ নিয়ে নিজের কোনো সীমাবদ্ধতা কাটানো সম্ভব বলে মনে করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে এমসি কলেজ, সিলেটের শিক্ষার্থী সোনিয়া জেসমিন বলেন, ‘জব ইন্টারভিউতে নার্ভাসনেস কমবে। কিছু কৌশল আয়ত্ত করতে পারলে ইংরেজি বলার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়বে। নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ ওয়ার্কশপ।’
স্টাডি সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, কনটেস্ট হেল্প ও ফ্রি ইউটিলিটি ক্লাস প্রভৃতি বিষয়ে জিডিএন-সাস্ট ও ১০ মিনিট স্কুলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গত মাসের ৭ তারিখ।