সুষম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। খাবার তালিকায় ভিটামিন, শর্করা, আমিষ, চর্বি, লবণ ও পানি এ ছয়টি উপাদান থাকা উচিত। শরীর ও মনের যত্নে আপনি সুষম খাবার খেয়ে থাকেন কি না, তা জানতে কুইজটিতে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন:
১. ভিটামিন
ক. তরিতরকারি ভালো লাগে না। সপ্তাহে একদিন সবজি খান (০)
খ. দিনে একবার (১)
গ. শাকসবজি ছাড়া চলেই না (২)
২. দিনে কয় টুকরো ফল
ক. দু-এক টুকরো (১)
খ. ফল খুব প্রিয়। ঘরে-বাইরে ফল খেয়ে থাকেন (২)
গ. সপ্তাহে দু-একবার (০)
৩. চাল, আলু, আটা, ময়দা, গুড়, চিনি
ক. ময়দার রুটি পারোটা প্রিয় (০)
খ. চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন (২)
গ. কমবেশি চিনি খেয়ে থাকেন (১)
৪. মাছ-মাংস
ক. প্রতিবেলায় হলে ভালো (০)
খ. সপ্তাহে একদিন (১)
গ. দুই সপ্তাহে একদিন (২)
৫. দুগ্ধজাত খাবার
ক. প্রতিবেলায় চিজ দধি চাই (০)
খ. দিনে একবার (২)
গ. সপ্তাহে একবার (১)
৬. লবণ
ক. লবণ নিয়ে ভাবেন না (২)
খ. কাঁচা লবণ প্রিয় (০)
৭. পানি
ক. দিনে ২ লিটারের বেশি (২)
খ. প্রায় ১ লিটার (০)
গ. প্রতিদিন প্রায় দেড় লিটার (১)
৮. সকালে নাস্তার সঙ্গে সম্পর্ক
ক. ছাড়া ছাড়াÑ অধিকাংশ সকালে এক বাটি সিরিয়াল ও দুধ (১)
খ. নাস্তা এড়িয়ে চলেন। এক কাপ কফি বা চা হলে চলে যায় (০)
গ. গভীর! মজা করে সকালের নাস্তা সারেন। বাটার টোস্ট, রুটি, দুধ, ফল, জুস প্রভৃতি থাকে (২)
৯. দুপুরের খাবারে
ক. সালাদ ও দই। মাঝে মাঝে অল্প ভাত আর মাছ অথবা মাংস (১)
খ. চিকেন স্যান্ডউইচ, কোক ও চকোলেট (০)
গ. ভাত, সবজি ও মাছ বা মাংস (২)
১০. দুই ধরনের হিমায়িত খাবারে ফ্রিজ ঠাসা থাকে
ক. মিক্সড ভেজিটেবলস্ ও কেক জাতীয় খাবার (১)
খ. শাকসবজি ও মাছ-মাংস (২)
গ. পানীয় ও মিষ্টি (০)
ফলাফল: এবার আপনার স্কোর মিলিয়ে নিতে পারেন। ১২ নম্বরের বেশি হলে আপনার খাবার-দাবার সুষম। এ অভ্যাস ধরে রাখার চেষ্টা করুন। ৮ থেকে ১১ নম্বরের মধ্যে আপনার স্কোর ওঠানামা করলে, আপনি পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি চর্বি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারও পছন্দ করেন। আর ৭ নম্বরও উঠাতে না পারলে আপনার খাবারে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। খাবার-দাবারের ব্যাপারে আপনার সচেতন হওয়া উচিত।
* অল দ্য টেস্ট অবলম্বনে