২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রথম নারী হিসেবে কুস্তিতে স্বর্ণপদক জেতা গীতা ভগাতের পরিবার নিয়ে আমির খানের দঙ্গল মুক্তির পরে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দঙ্গল ও তার জীবন নিয়ে কথা বলেন গীতা ভগাত
দঙ্গল দেখার পর আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
সিনেমাটি আমরা উপভোগ করেছি। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি আমার বাস্তব জীবনকে দেখছি।
সিনেমাটি আপনার জীবনের সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠ?
সিনেমাটির ৯৯ শতাংশ বাস্তব।
দঙ্গলে আপনার বাবাকে অনেক কঠিন মানুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাস্তবে?
বাস্তবে আমার বাবা আরও কঠিন এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষ।
আপনার শৈশবের স্মরণীয় স্মৃতি কী?
প্রশিক্ষণের প্রথম দিকের পাঁচ-ছয় বছরের কথা কখনও ভুলতে পারবো না। কঠোর পরিশ্রম করতে হতো। বাবা প্রতিরাত সাড়ে ৩টায় জেগে উঠতেন। এরপর আমরা একটানা তিন ঘণ্টা অনুশীলন করতাম। স্কুলে যেতাম, সন্ধ্যাবেলা ফিরতাম। ফিরে আবার টানা দুই-তিন ঘণ্টার অনুশীলন। আমরা দেখেছি সময় ও বাবা এক সুতোয় বাঁধা।
আমির খানের সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক?
আমির স্যারের সঙ্গে প্রথমবার আমাদের দেখা হয় সত্যমে জয়তির সেটে। এরপর দঙ্গল নির্মাণসংক্রান্ত ব্যাপারে সাক্ষাৎ হয়। তিনি একজন ভালো ও সৎ মানুষ। আমাদের সবার প্রতি তার আচরণ খুব ভালো ছিল। কিরণ ম্যাম নিজেও আমাদের প্রতি আন্তরিক ছিলেন।
দঙ্গাল দেখার পর আপনার বাবার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বাবা সিনেমাটির খুব প্রশংসা করেছেন।
মেয়েদের জন্য আপনি কী বলতে চান?
আমি বলতে চাই, মেয়েরা দুর্বল বা অসহায় নয়। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলে এ পৃথিবীর কেউ আপনার কোনো কিছু অর্জনের পথে বাধা হতে পারবে না। আমি মনে করি, সব কিছুর জন্য নিজের মনকে শক্ত করতে হবে।
ফিল্মফেয়ার থেকে ভাষান্তর : রবিউল কমল