নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বস্ত্র খাতের কোম্পানি আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫ লাখ ৪ হাজার ১৫টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭৮৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৬ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৯৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প–ঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আল-হাজ্ব টেক্সটাইল লিমিটেড। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২১ পয়সা লোকসান গুনেছে। ডিএসইতে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৩০ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১৭ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪৭ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৯ টাকা ৫২ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৩ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯৫ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৬ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা।
এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা লোকসান এবং ৩০ জুন ২০২০ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট দুই কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ২৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের ২ দশমিক ১৭ শতাংশ, এআইবিএল মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ডের ২ দশমিক ০২ শতাংশ এবং ফাইন ফুডস লিমিটেডের ১ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।