প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ইউক্রেনে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিক্রির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনের কাছে ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বিক্রির অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার এ অনুমোদন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সমরাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল ডিএসসিএ বিষয়টি কংগ্রেসকে জানিয়েছে। খবর: দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট।

দ্য ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (এনএএসএএমএস) নামের এই প্রতিরক্ষাব্যস্থা ভূমি থেকে মাঝারি দূরত্বের বিমান হামলা প্রতিরোধে সক্ষম। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা শক্তভাবে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ইউক্রেনের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েনের পর দেশটি তাদের জনগণ ও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামো রক্ষায় সমর্থ হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ সমরাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত ইউরোপের সহযোগী দেশগুলোর নিরাপত্তা জোরদারসহ রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অংশ। এটি স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো কর্মকর্তা অথবা ঠিকাদার নিয়োগের দরকার হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছে। এরই মধ্যে এসব দেশ কোটি কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিয়েভের প্রতিরোধ লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে দেয়া মার্কিন সহযোগিতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে। জি-৭ সম্মেলনের এক সাইড লাইন বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যত ধরনের সহায়তা প্রয়োজন তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তাকারী দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান যুক্তরাজ্যের। সম্প্রতি ইউক্রেনকে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের (প্রায় ৩০০ কোটি ডলার) নতুন অস্ত্রসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক হামলা শুরু করে রাশিয়া। তখন কিয়েভের আকাশ প্রতিরোধব্যবস্থা ছিল মূলত সোভিয়েত আমলের বিমাননির্ভর।