নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪০ শতাংশ নগদ এবং ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ টাকা ১১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ এপ্রিল।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ৯০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫১ টাকা ৬৫ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনিলিভার। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৩ টাকা ৯৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা আট পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৬ টাকা ৩৬ পয়সা।
১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং মোট এক কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৮৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।