প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ইন্দোনেশিয়ায় সাত মাত্রার ভূমিকম্প

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ মালুকুর উপকূলবর্তী সাগরে সাত মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এরপর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা তুলে নেয়া হয়। খবর: রয়টার্স।

গতকাল বুধবারের এ ভূমিকম্পটি প্রতিবেশী ফিলিপিন্সেও অনুভূত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিকস সংস্থা জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই। জিওফিজিকস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ৬৪ কিলোমিটার গভীরে এবং মেলোঙ্গুয়ানে শহর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে। ভূমিকম্পের পর থেকে ১০টি পরাঘাত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারও এক বুলেটিনে তাদের জানানো সুনামির ঝুঁকি সতর্কতা তুলে নিয়েছে। মেলোঙ্গুয়ানে শহরের বাসিন্দা ইকা বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমার বাড়ি কাঁপছিল। উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাডোর এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড ধরে খুব তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে এবং লোকজনকে দৌড়ে ভবনগুলো থেকে বের হতে দেখা গেছে। পরে তারা আবার ফিরে আসেন।

উত্তর সুলাওয়েসির পুলিশ জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মালুকু দ্বীপপুঞ্জেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে।

এদিকে ফিলিপিন্সের ভূমিকম্প সংস্থা তাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে এবং পরাঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির সতর্কতা জারি করেছে।

ইন্দোনেশিয়া তথাকথিত প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত দেশ হওয়ায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রায়ই ছোট-বড় অনেক ভূমিকম্প হয়।

গত সোমবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে ছয় মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আচেহ প্রদেশের সিংকিল শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল।

এর আগে দেশটিতে গত ১০ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। তানিমবার দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে এ ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা তুলে নেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।