প্রতিনিধি, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বখাটে কর্তৃক দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেফতার করে শৈলকূপা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত সোমবার দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে আকাশ নামের এক স্থানীয় বখাটে ও তার বন্ধুবান্ধব ক্যাম্পাসের মেয়েদের ভিডিও ধারণ করে। এর প্রতিবাদে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। তখন বখাটেরা তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় স্থানীয় বখাটেরা। বিকাল ৫টার দিকে সেই দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলের তেল কিনতে শেখপাড়া বাজারে গেলে স্থানীয় বখাটে ছেলেরা তাদের চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এর প্রতিবাদে প্রায় ৪ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে তারা শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। ফলে দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে দাবি না মানা ও তিন দিনের মধ্যে আসামি গ্রেফতার না হলে পুনরায় আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।
আজ বেলা ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। এতে বলা হয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না ও শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড রাখার জন্যেও বলা হয়।
এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন আমরা একজনকে আটক করেছি। তার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। সে শেখপাড়ার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও গতকালকের ঘটনাটি নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সাথে বসবো।