প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫.২৪ শতাংশ

সাপ্তাহিক বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৮ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৪৫১টি শেয়ার মোট ৬ হাজার ৬২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৬ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৭১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগমী ৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ অক্টোবর। এর আগে কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল তিন টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৩ পয়সা। এছাড়া ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরেরও বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৪৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এডিএন টেলিকম লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেডের ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।