মনিরুল হক : আওয়ামী ঘনিষ্ঠ উদ্যোক্তা মাসুদ আলমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ায় খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লি.। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি নথিপত্রে বিশেষ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নাম অন্তর্ভুক্ত থাকায় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লি. সাধারণ মানুষদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পায়। এই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু আইটি খাতের প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন মাসুদ আলম। এর মধ্যে নগদহাট বাংলাদেশ লিমিটেডের মাল্টি-লেভেল মার্কিটিং ধাঁচের ব্যবসার মধ্যে দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে প্রমিস মার্ট করা হয়। প্রমিস গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানের টাকায় প্রমিস অ্যাসেটসহ মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন মাসুদ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাসুদ আলম কিছুটা আড়ালে থেকে প্রমিস গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত এক বছরে তাকে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। অথচ আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছবি তুলতে দেখা যায়।
২০২৪ সালের এপ্রিলে শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন মাসুদ আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নির্বাচনী পোস্টারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ব্যবহার করেন তিনি।
নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে প্রদত্ত আয়কর নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাসুদ আলমের নিট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯ টাকা। ২০২৩-২৪ করবর্ষে মাসুদ আলমের আয় ছিল ২১ লাখ ৩ হাজার টাকা।
হলফনামায় স্থাবর সম্পদের তথ্যের বিবরণ দিতে গিয়ে মাসুদ উল্লেখ করেন, তার নিজ নামে ৬টি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। অর্জনকালে ওই সম্পদের মূল্য ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, হলফনামা ও আয়কর নথিতে উল্লিখিত তথ্যের বাইরেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে মাসুদ আলমের। এ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। একইসঙ্গে স্ত্রীসহ মাসুদ আলমের পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসুদ আলম সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গোসাইপুর উপজেলার বাসিন্দাদের মতে, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন মাসুদ আলম। জাতীয় যুব কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। মাসুদ আলমের গ্রামের বাড়িতে কী কী সম্পদ রয়েছে তা জানতে চেয়েও চিঠি দেয়া হয়েছে।
দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, মাসুদ আলমের প্রতিষ্ঠানকে ২৯৭ কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের কাজ দেয়ার মধ্যে অনিয়ম হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই প্রকল্পের দরপত্র সাজানো হয় মাসুদ আলমের ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লি.কে কাজ দেয়ার জন্য। ওই প্রকল্পের আওতায় ২৮ হাজার ৮০০ জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করার কথা বলেও মাসুদ আলমের মতো আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের হাতে বড় একটি প্রকল্পের কাজ দেয়া হয়। এ নিয়ে খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) সামনের সারির এক নেতা শেয়ার বিজকে বলেন, তারা প্রশিক্ষণে ভালো কাজ করেছেÑএটা সত্য কথা। কিন্তু মাসুদ আলম আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হয়েও যদি এই সময়ে সরকারের বড় ধরনের প্রকল্পের কাজ পায় তাহলে তো বৈষম্যবিরোধী চেতনা বলে কিছু থাকে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই তো এত দিন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা করে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মাসুদ আলমের সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দুই সাবেক সচিবের ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, দরপত্রে ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে প্রহণযোগ্য হয় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড, বাংলাদেশ আইটি ইনস্টিটিউট, এসইও এক্সপেইট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং নিউ হরাইজনস সিএলসি অব বাংলাদেশ। অবশেষে কাজটি দেয়া হয় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডকে।
এদিকে গত ২৫ জুন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে দুদকের উপপরিচালক মো. সাইফুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ আলম ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাসুদ আলমের কাছে নগদ টাকা ছিল ২৫ লাখ। যেখানে তার স্ত্রীর কাছে ছিল ৪৮ লাখ টাকা। মাসুদ আলমের ব্যাংক হিসাবে ছিল প্রায় ৪৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর কাছে ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
মাসুদ আলমের স্ত্রীর কাছে নগদ ৪৪ লাখ টাকা থাকায় এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাছাড়া তার স্ত্রীর নামে গাড়িও রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৯৭ লাখ টাকা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই কোম্পানিকে ১০ বছরের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকার শর্তে নির্বাচিত করা হয়েছেÑযা টেন্ডার শর্তাবলির সরাসরি লঙ্ঘন।
প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ খান ও কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মাসুদ আলমের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় রয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন। ২০২২ সালে সচিব থাকাকালে মেসবাহ উদ্দিন ৪৬ কোটি ৭ লাখ টাকার একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের নকশা করেন। পরের বছর তার ঘনিষ্ঠ মাসুদ আলমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি কাজ পায়। অবসরের কয়েক মাসের মধ্যেই মেসবাহ নিজেই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শেয়ারহোল্ডার হন। তিনি গত বছরের অক্টোবরে ‘জুলাই গণহত্যা’-সংক্রান্ত একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন।
মাসুদ আলমের আরেক ব্যবসায়িক অংশীদার সাবেক সচিব আখতার হোসেনের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার। তিনি মাসুদের অন্য কোম্পানি নগদহাট বাংলাদেশ লিমিটেডেরও শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। আরজেএসসির নথি অনুযায়ী, নগদহাটে মাহবুবা ছাড়াও যুক্ত ছিলেন আরেক সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন। আখতার হোসেন ২০২২ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি সমন্বয়ক হন।
মাসুদ আলমের প্রতিষ্ঠানকে আইটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প দেয়া নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত বছরের অক্টবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারণ মাসুদ আলম ছিলেন ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগ (রবিউল-রানা) কমিটির সহ-সম্পাদক। গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রার্থিতার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ নামক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ (এমএসপিএম) পরিচালনা করেন মাসুদ।
মাসুদ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’, শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২, জাতীয় যুব পুরস্কারসহ একাধিক সম্মাননা পান। তার বাবা আজাহার উদ্দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ছোট ভাই রাসেল আলম ছাত্রলীগ করতেন।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাসুদ বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হই। আমার বাবা আজাহার উদ্দিন আওয়ামী লীগ করতেন বলে তখন তিনি পালিয়ে যান। ফলে প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনাও শেষ করতে পারিনি।’
এ রকম একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেহেতু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। তাই এ কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকল্পটি আবার টেন্ডারের আওতায় আনা উচিত। তবে তার আগে যাচাই করা জরুরিÑএ প্রকল্পটি আদৌ দেশের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়। অতীতে ডিজিটালাইজেশনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে স্বৈরাচারী সরকার। এখন সময় এসেছে খতিয়ে দেখারÑএ প্রকল্পও সেই লুটপাটের ধারাবাহিকতার অংশ কি না?’
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার আগেই ওই প্রকল্প হাতে নেয়, যা বহাল রাখে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বছরের অক্টোবরে ক্রয় কমিটিতে প্রশিক্ষণ নিয়োগের প্রতিষ্ঠানবিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী স্বাক্ষরিত সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রস্তাবটি দেখেছেন, অনুমোদন করেছেন এবং ক্রয় কমিটিতে উত্থাপনের সম্মতি দিয়েছেন।’
এ নিয়ে আইটি খাতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় মাসুদ আলম আঁড়ালে চলে যান। সরকার পরিবর্তনের পর নতুন কৌশল নেন তার সঙ্গে জড়িতরা। তারা এখন বিএনপিপন্থি সাংবাদিক কাদের গনী চৌধুরীর সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করছেন। গত ২৬ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের সঙ্গে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দেখা করতে যায় প্রমিস মার্টের এমডি ইস্রাফিল মোল্লাসহ একটি প্রতিনিধি দল। ওই সাক্ষাৎ থেকেও নিজেকে দূরে রাখেন মাসুদ আলম।
২০২৪ সালের ৭ আগস্ট জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গাড়িতে বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর হাতে পড়ে মাসুদ আলম। ওইদিন রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়িতে বস্তাভর্তি টাকা, অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করে ছাত্র-জনতা। গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-১৫৮১। ওই বস্তায় দেড় কোটি টাকার বেশি ছিল। তথাকথিত সাংবাদিক কামরুজ্জামান সাঈদীসহ (কে এস সোহাগ খান) আরেকজন। তাদের কাছে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই ঘটনায় খুব দ্রুত ছাড়াও পেয়ে যান তারা তিনজন।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লি. বেসিস ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য। এই দুটি সংগঠনে মাসুদ আলমের যোগাযোগের জন্য দুটি আলাদা মোবাইল নম্বর দেয়া রয়েছে। অথচ দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রিন্ট করুন





Discussion about this post