ক্রীড়া ডেস্ক: কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেস-স্পিনে বড় পরীক্ষায় ফেলেছিল বাংলাদেশ। এ কৌশলে তিন ম্যাচে সিরিজ টাইগাররা নিজেদের করে নিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে। তবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের হারাতে স্বাগতিকরা এবার কৌশল সাজাচ্ছে স্পিনে।
দীর্ঘ ১১ মাস পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ। তাই আগের মতোই প্রতিপক্ষ আঁটকাতে স্পিনেই ছক কষছে টিম টাইগার্স। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, ‘অনেকদিন পর আমাদের দেশের মাটিতে টেস্ট খেলা। সবকিছু হয়তোবা সহজ হবে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বেশকিছুদিন ধরে অনুশীলনের মধ্যে আছি এবং ওয়ানডে দলের সাথেও ছিলাম। ওখানে থাকার কারণে আমার অনুশীলন ভালই হয়েছে। আমাদের কোয়ালিটিফুল প্র্যাকটিস সেশন হচ্ছে, আশা করি কামব্যাক করতে বড় ধরণের অসুবিধা হবে না।’
করোনাকালীন সময়ে লম্বা বিরতির পর টেস্ট, তবে বিরতির মধ্যে অনুশীলনে উন্নতি করেছেন বলে মনে করছেন তাইজুল, ‘এতদিন টেস্ট খেলা নেই। এটার কোন পার্থক্য আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম সাথে বড় বিরতিতে আমরা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। অনেকেই অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছে, আমিও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করেছি কিভাবে উন্নতি করা যায়।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৪ সালে তাইজুলের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। সেই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার রেকর্ডটাও ভাল। ৫ টেস্টে ২১ উইকেট। টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে তাইজুলের ভাবনা একটাই বোলিংয়ে ভেরিয়েশন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে জায়গাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তো আমি জায়গাটা মেইনটেইন করবো। জায়গা মেইনটেইন করে ওখান থেকে ভেরিয়েশনগুলো করে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।’
তাইজুল এখন দলের সিনিয়র টেস্ট ক্রিকেটার। তাই জুনিয়র টিমমেটদের সহযোগিতা করতে চান তিনি, ‘আমি ৬-৭ বছর খেলে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আমার যে অভিজ্ঞতাটা হয়েছে, আমি যেটা ফিল করি মাঠে বা মাঠের বাইরে টেস্ট চলাকালীন, আমি মনে করি যারা জুনিয়র আছে তাদেরকে যেন হেল্প করতে পারি বা অভিজ্ঞতা যতটুকুই আছে তা যেন শেয়ার করতে পারি। আমার মনে হয় আমি যদি শেয়ার করি তাহলে তাদের ডেভেলপমেন্টটা তাড়াতাড়ি হবে।’