নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণমান অবস্থানে (ক্রেডিট রেটিং) ‘এ+’ ও ‘এআর-২’ পেলো ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলফা ক্রেডিট রেটিং (আলফারেটিং) লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদে ‘এ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এআর-২’ হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ও ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭৬ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৬ কেটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার। ২০১৪ সালেও কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল এক টাকা ৬৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৫৮ পয়সা ও ২০ টাকা ৯৬ পয়সা। ওই সময় কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারমূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৪৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২২ কোটি এক লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে দুই পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১৯ টাকা ৮৮ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫৪ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল তিন পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৫১ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২০ টাকা ৭৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৪ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২০ টাকা ৭৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর ২৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ওইদিন কোম্পানির ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯৪২টি শেয়ার মোট ৪১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৭১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর সর্বনিম্ন১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে দুই দশমিক ২১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।