প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

এক দিন পরেই পতন আইটি খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে আইটি খাতে পতন হয়েছে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এতে এক দিন পরেই আলোচ্য খাতে পতন হলো। এর আগের কার্যদিবসে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল। গতকাল খাতটি লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।

এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রুমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানে থাকা ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন ট্যানারি খাতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে ও বাকিটির অপরিবর্তিত ছিল। তৃতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। বিমা খাতে লেনদেন হওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে এবং ২৭টির দর কমেছে। এ ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, প্রকৌশলী, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক এবং বস্ত্র খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা পাট খাতে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করে শেয়ারদর কমেছে।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে গতকাল ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রেমে ২ হাজার ২৩০ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৭৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৯টি এবং কমেছে ৯১টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৬৫টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৪৩টি, কমেছে ৪৮টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৭৭টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৩ দশমিক ২৩ পয়েন্টে।