শেয়ার বিজ ডেস্ক: জার্মানির ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডয়েচে ব্যাংক ক্রেডিট-ডিফল্ট অদলবদল (সিডিএস) এবং ব্যাংকঋণে খেলাপি হওয়ার কারণে ট্রেড ক্রেডিট বিমা রেকর্ডের কাছাকাছি স্তরে পৌঁছেছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা কমিয়ে দেন। ফলে শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১৪ শতাংশ। শেয়ারের দরপতনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইউরো স্টক মার্কেটে ৬০০ ব্যাংক সূচকে প্রতিষ্ঠানটি গত শুক্রবার বিকালের দিকে পাঁচ শতাংশ হারায়। খবর: সিএনবিসি।
গত ১৯ মার্চ সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক ইউবিএস কিনে নেয় বিপর্যয়ে পড়া ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। এরপর বিনিয়োগকারীরা ভাবছিলেন আরও একটি দুর্ভাগ্যজনক সপ্তাহ সামনে আছে কি না। তাদের সেই আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
দীর্ঘ পথ ও তিক্ততার মধ্য দিয়ে পুনর্গঠনের পর, ডয়েচে ব্যাংক এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর খুচরা আমানতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিমা করা। নগদ রাখার ব্যাপারেও তারা সতর্ক। ২০১৬ সালের বিপর্যয়ের মুখে আমানতের অবস্থা খারাপ ছিল। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির এখন যথেষ্ঠ তরল সম্পদ রয়েছে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ বিনিময় করতে পারে।
তবে অন্যান্য হুমকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান সুদের হার, যা যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংককে (এসভিবি) নিচে নামিয়ে দিয়েছিল। যদিও সুদের আয় বাড়ার জন্য সুদহার বৃদ্ধি স্বল্প মেয়াদে ব্যাংকগুলোর জন্য ভালো। প্রকৃতপক্ষে ইউরোপের ব্যাংকগুলো ভালো মুনাফা অর্জন করছে। ডয়েচে ব্যাংক ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরো নিট মুনাফা অর্জন করে। এর আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ ছিল এ মুনাফা। কিন্তু ফান্ডের খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের সম্পদ, যেমন দীর্ঘমেয়াদি বন্ড মূল্য হারায়।
গত বছর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিট সময়ের ঝুঁকি ও সুদহার বাড়লে ব্যাংকগুলো কতটা শেয়ারদর হারায়, সে বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিশ্লেষকদের একটি সংস্থা অটোনোমাস রিসার্চের মতে, ডয়েচে ব্যাংকের ঝুঁকি উচ্চ প্রান্তে থাকলেও এটি বেশি বিপদের কারণ হবে না। আরেকটি উদ্বেগ হলো এসভিবির বিপর্যয়ের ফলে ডয়েচে ব্যাংকের আমেরিকান পোর্টফোলিওকে প্রভাবিত করতে পারে।
ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড মনে করেন, ইউরোপের ব্যাংকগুলো নিরাপদে রয়েছে এবং তারল্য সংকট নেই।