প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

‘এলসি নিষ্পত্তির সময় বাড়ানো গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কমবে’

১৯৮৯ সালে ট্রেডিং ও সার আমদানির মাধ্যমে যাত্রা করে ‘দেশবন্ধু’ গ্রুপ। বর্তমানে গ্রুপটির ব্যবসা রয়েছে পলিমার, সিমেন্ট, গার্মেন্টস, শিপিং, হোল্ডিংসসহ প্রায় ২০টি খাতে। দেশবন্ধু গ্রুপের পথচলা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক শেয়ার বিজের মুখোমুখি হন ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রহমত রহমান

শেয়ার বিজ: দেশবন্ধু গ্রুপ প্রতিষ্ঠা কীভাবে হয়েছে?

গোলাম রহমান: আমরা ১৯৮৯ সালে ট্রেডিং ব্যবসার মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করি। তখন সার, গম, চিনি, বিসিআইসির যে ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে, সেগুলোর কাঁচামাল যেমন রক ফসফেট, রক সালফার, ইউরিয়া সরবরাহ করতাম। বিসিআইসি একসময় ইউরিয়া রপ্তানি করত। আমরা সেটাও করেছি। এরপর আমরা ইন্ডাস্ট্রির দিকে মনোনিবেশ করি। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে রুগ্ণ এই সুগার মিল (বর্তমানে দেশবন্ধু সুগার মিল) আমাদের নিকট সরকার হস্তান্তর করে। তখন থেকে দেশবন্ধু গ্রুপ প্রতিষ্ঠান লাভ করে। ২০০৩ সালে আমরা উৎপাদন শুরু করি। ২০০৩ থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ইন্ডাস্ট্রি করেছি সব দেশবন্ধু নামে করেছি।

শেয়ার বিজ: দেশবন্ধু নামের পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না?

গোলাম রহমান: ‘দেশবন্ধু’ একটি ঐতিহাসিক নাম। এটা দেশ ও মানুষের বন্ধু। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। এজন্য দেশবন্ধু নামটা আমাদের কাছে প্রিয় লেগেছে। সে জন্য আমরা এই গ্রুপের নাম দেশবন্ধু দিয়েছি।

শেয়ার বিজ: দেশবন্ধু সুগার মিলের (পুরোনো) কর্মীদের বর্তমান দেশবন্ধু সুগারে কর্মসংস্থান হয়েছে কি না?

গোলাম রহমান: যখন আমরা টেন্ডার করি। রমজান মাস। ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। নরসিংদীর পলাশের চরসিন্ধুরে যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা আর আসতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তাঘাট এখনকার মতো ছিল না। আপনাকে হয়তো কাঁচপুর ব্রিজ হয়ে সিলেট রোড হয়ে যেতে হতো। নতুবা গাজীপুরের কালীগঞ্জ দিয়ে একটা জরাজীর্ণ রাস্তা ছিল। ঘোড়াশাল ফেরি পার হয়ে যেতে হতো। গিয়ে দেখি একেবারে জঙ্গল হয়ে আছে। ১৯৮৬ সালে এটাকে লে-অফ ঘোষণা করা হয়। লে-অফের পর অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী না খেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। আমরা এই মিলটি নেয়ার পর পুরোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে রেখে দিই। পুরোনো মিলটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে চালানোর চেষ্টা করি। যখন দেখি যে, এই এলাকায় আখের চাষ বন্ধ হয়ে গেছে। চাষিরা আখ চাষ বাদ দিয়ে স্বল্পমেয়াদি অন্যান্য ফসল চাষে চলে গেছে। আখ পাওয়া যাবে না। তখন আমরা চিন্তা করলাম, কিছু কাঁচামাল দেশের বাইরে থেকে এনে চালানো যায় কি না। এই এলাকার মানুষ হতদরিদ্র। সবাই আমাদের বলে যে, মিলটি চালু করেন। আমরা তখন থেকে চেষ্টা করছি। এরপরও কিছু যন্ত্রপাতি, পুরোনো ও নতুন মেশিন আমদানি করে প্রথমবার আমরা বিএমআরই করি। বিএমআরই করার পর ওই যন্ত্রপাতি ভালো সিঙ্কোনাইজ হয় না। যে পরিমাণে আউটপুট পাওয়ার কথা, যে পরিমাণ পারফরম্যান্স হওয়ার কথাÑসে পরিমাণে পারফরম্যান্স হয় না। এরপরে আমরা আবার বিএমআরই করি। নতুন আর পুরোনো মেশিনের সিঙ্কোনাইজ না হওয়ার পরও অনেকদিন আমরা সমস্যার মধ্য দিয়ে প্রোডাকশন করেছি। এরপরও আমরা প্রোডাকশন চালিয়ে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, উপমহাদেশের প্রথম চিনিকল ‘দেশবন্ধু সুগার মিল’ বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয় ২০০২ সালে। কিনে নেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর গোলাম মোস্তফা; যিনি দেশবন্ধু গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান। দেশবন্ধু চিনি কল লিমিটেড বাংলাদেশের নরসিংদীতে অবস্থিত একটি ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৩২ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করেন।

শেয়ার বিজ: কভিডকালে দেশবন্ধু গ্রুপ কেমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে?

গোলাম রহমান: কভিডের ধাক্কায় আমাদের কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা হয়েছে। ফ্যাক্টরি কিছুদিন বসে ছিল। আমরা পুরো শিফট চালাতে পারিনি। দেখা গেছে, একটা সেকশনে একজন যদি অসুস্থ হয়ে যেত। তাহলে পুরো সেকশন আমাদের বন্ধ রাখতে হতো। আমরা যদিও চালিয়ে রাখছি, কিন্তু প্রোডাকশন যে পরিমাণে হওয়ার কথা ছিল, সেই পরিমাণে আমরা করতে পারিনি। কভিডকালে মধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশে যোগাযোগ করা যায়নি। মানুষ অফিস করতে পারেনি। কাঁচামাল আমদানি করা যায়নি। যার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

শেয়ার বিজ: কভিডে দেশবন্ধু গ্রুপ কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করেনি, এর কারণ কী?

গোলাম রহমান: শ্রমিক ছাঁটাই কীভাবে করব? আমরা তো তাদের মাঝখানে মিশে আছি। বাংলাদেশের আমরা কেউ তো পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের না। আমরাও তো ওই জায়গা থেকে উঠে এসেছি। আমরা তো বুঝি, একটা শ্রমিক বা অফিসারের এই ছোট চাকরিটা না থাকলে কি অসুবিধা হয়। আমরা নিজেরা বুঝি বলেই তো শ্রমিক ছাঁটাই করতে পারিনি। আমরা খেয়ে না খেয়ে, ব্যাংকের টাকা ঠিকমত দিলাম কি নাÑসেটা না দেখেও কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দিয়ে যাচ্ছি। যার কারণ, একজন শ্রমিকের চাকরি না থাকলে তার পরিবারের ৫-৭ জন লোক নিয়ে চলাফেরা করা কত কষ্টকরÑসেটা আমরাই বুঝি।

শেয়ার বিজ: দেশবন্ধু কোন কোন দেশে বেশি পণ্য রপ্তানি করছে?

গোলাম রহমান: সুগার, গার্মেন্টস, পিপি ব্যাগ, বেভারেজ পণ্য, ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট, ফুটওয়্যার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপাচ্যের কয়েকটি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। রপ্তানি আমরা আরএমজি, ফুটওয়্যার, বেভারেজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের জাম্বো ব্যাগ রয়েছেÑ যেটা এক টন, দুই টন। এসবের চাহিদা রয়েছে, আমরা এক্সপোর্ট করছি। এখন যেটা সমস্যা আমাদের, তাহলো কাঁচামাল আমদানিতে আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে।

শেয়ার বিজ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বা দেশবন্ধু কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?

গোলাম রহমান: দেশবন্ধু গ্রুপ কভিডে যত বেশি ক্ষতি হয়নি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে যে ডলার সংকট, এলসি সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শেয়ার বিজ: এলসি ও ডলার সংকট নিরসনে সরকারের কাছে আপনার কোনো আবেদন আছে কি না?

গোলাম রহমান: কভিডে সময়ও ডলারের দাম ৮৪-৮৫ টাকা ছিল। সেই ডলারের দাম গতকালও ১১০ টাকায় স্যাটেল করেছি। ৮৪-৮৫ টাকা থেকে ডলারে বাড়তি দাম এখন ২৫-২৬ টাকা। আমরা কাঁচামালের দাম সাধারণত বিলম্বে পরিশোধের জন্য নিয়ে আসি। এর মধ্যে পণ্যের কস্টিং করে বাজারজাত করে ফেলি। পরবর্তী সময় পেমেন্ট দেয়ার সময় ডলার মূল্য ওই দামে পরিশোধ করতে না পেরে আমাদের লস দিতে হয়। আমাদের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর দেশ, সেটা এক্সপোর্ট হোক আর লোকাল কনজাম্পনের জন্য হোক। যেমনÑআমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই বেশি। সুগার, বেভারেজ, পলিমার, সিমেন্টের কাঁচামাল আমরা বেশি আমদানি করে থাকি। এসব পণ্যের কাঁচামালের মূল্য যখন আমরা পরিশোধ করতে যাই, যখন বিক্রির সময় যে কস্টিং ধরা হয়, আর যখন পরিশোধের সময় ডলারের মূল্যে পরিশোধ করতে হয়, তখন আমরা সেই মূল্যে পরিশোধ করতে পারি না। ফলে আমাদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুধু আমরা নই, প্রতিটি ছোট-বড় গ্রুপ, যারা এলসি দিয়ে কাঁচামাল নিয়ে আসছে সবাইকে এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা এসব সমস্যা আমাদের ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠনকে জানিয়েছি। ডলারের মূল্যের কারণে আমাদের যে ক্ষতিটা হচ্ছে। এটা যদি একটা স্পেশাল অ্যাকাউন্ট করা হতো, করে আমাদের কার কত ক্ষতি হয়েছেÑএটা একটা কমিটি বা ব্যাংকের মাধ্যমে হোক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করে পরিশোধের সময় ১০-১৫ বছর করে দেয়া হতোÑতাহলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন কম হতাম, বেঁচে যেতাম। বলা হয় যে, বাজারে ওই পণ্যের দাম বেশি ওই পণ্যের দাম বেশি, সরকার নির্ধারিত দাম। ব্যবসায়ীরা কী করবে? ব্যবসায়ীদের এসব সমস্যা বিষয় কি কখনও দেখা হয়েছে? সাধারণ মানুষ বলেন যে, ব্যবসায়ীরা অসাধু। একবার কি দেখা হয়েছে যে, ব্যবসায়ীরা কী দামে কাঁচামাল আমদানি করছেন আর কী দামে বিক্রি করছেন? আমদানি ভ্যালু কত, মূল্য পরিশোধ ভ্যালু কত, প্রকৃত পক্ষে মালের কত কস্টিং, কত লাভ করতেছে, কত লস করতেছেন। এসব কস্টিং করে যদি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা হতোÑতাহলে সবাই সঠিক বিষয়টি জানতে পারেন। মানুষ জানতে পারত যে, সত্যি সত্যিই এই ব্যবসায়ীটা ভালো। অথবা এসব কারণে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই ব্যবসায়ীকে সহযোগিতা করা দরকার। আমাদের গ্রুপে ২০ থেকে ২২ হাজার মানুষ কাজ করতেছে। এর সঙ্গে বহু পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাঁচছে। বড় বড় গ্রুপে লাখ লাখ লোক কাজ করতেছে। আমরা ছোট করে হলেও দেশ ও জাতিতে অবদান রাখতে পারতেছি। এর জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আল্লাহ আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের কিন্তু সরকারের দিক থেকে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে বা মিনিস্ট্রির দিক থেকে দেখতে হবে। না দেখলে আমরা একা তো এই ক্ষতি বহন করতে পারব না, ডলারের মূল্যের কারণে যে ক্ষতিটা হলো।

শেয়ার বিজ: দেশবন্ধু গ্রুপ নতুন কোন খাতে বিনিয়োগ করেছে কি না?

গোলাম রহমান: আমরা গত অক্টোবর মাসে শতভাগ রপ্তানিমুখী ফুটওয়্যারের একটা ফ্যাক্টরি করেছি; যার নাম ওয়েস্টার্ন ফুটওয়্যার। যদি সরকার আমাদের সহযোগিতা করে, বন্ড সুবিধা দেয়, বৈশ্বিক অবস্থা ভালো হয়Ñতাহলে এতে বার্ষিক প্রায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা রপ্তানি হবে। বৈশ্বিক এই অবস্থার মধ্যে আমরা নতুন করে আর কোনো নতুন ইন্ডাস্ট্রি করার চিন্তা করছি না। পুরোনো যেসব ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে, সেগুলো কীভাবে আরও আধুনিক ও উৎপাদনমুখী করা যায়Ñসেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি।

শেয়ার বিজ: রমজানে চিনির বাজারে আপনাদের সহযোগিতা কি থাকবে?

গোলাম রহমান: দেশের মানুষের জন্য আমরা সব সময় সব কিছু করি। আমরা গত ১৫ বছর থেকে প্রতি রমজান ও প্রতিটি ক্রাইসিসে আমরা ভ্রাম্যমাণ ট্রাক দিয়ে ঢাকা মহানগরীতে সুলভ মূল্যে চিনি, চাল ও বেভারেজ পণ্য সরবরাহ করে থাকি। আগামী রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের সুলভ মূল্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। আমাদের চারটি ট্রাক মহানগরী ঘুরে ঘুরে বিক্রি করবে। রমজানে চিনির দাম বাড়বে না। সরকার কিছুদিন আগে চিনির কাঁচামালে কিছু শুল্ক কমিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই শুল্কের আওতায় কোনো মাল ছাড় করা হয়নি। আমরা প্রায় তিন মাস আগে সরকারকে বলেছিলাম, যে শুল্ক কমান। যাতে রমজানে মানুষ কিছু সুবিধা পাবেন। কমালে এই শুল্কের আওতায় কাঁচামাল দেশে আসবে। পণ্য না ঢুকলে আমি তো সেই কাঠামো পণ্য দিতে পারব না। সরকার রমজানের জন্য যদি কিছু করে তাহলে অন্তত তিন মাস আগে করা উচিত। তিন মাস আগে সেই মাল বাজারে ঢুকবে। আজকে কমালে মাল ব্রাজিল থেকে আসতে ৪৫ দিন সময় লাগবে, গোডাউন ও রিফাইন হবে, বাজারে যাবে। এই সময়টুকু তো দিতে হবে।

জানা গেছে, দেশবন্ধু পলিমার, দেশবন্ধু সিমেন্ট, সাউথইস্ট সোয়েটার, দেশবন্ধু শিপিং, জিএম হোল্ডিংস, সাহেরা অটো রাইস মিলস, দেশবন্ধু সিকিউরিটি সার্ভিসেস, ট্রেডিং কোম্পানিজ, দেশবন্ধু পাওয়ার প্লান্ট, দেশবন্ধু টেক্সটাইল, দেশবন্ধু ফাইবার, দেশবন্ধু কনজ্যুমার অ্যান্ড অ্যাগ্রো, সাহেরা ওয়াসেক হাসপাতাল, দেশবন্ধু পার্সেল অ্যান্ড লজিস্টিকস এবং দেশবন্ধু মিডিয়া দেশের বেসরকারি খাতে সগৌরবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশবন্ধু গ্রুপের নরসিংদীর চরসিন্দুর পলাশ শিল্প এলাকায় দেশবন্ধু চিনিকলে বর্তমান দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ টনের বেশি।