নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্ল্যাটফর্মে (এসএমই প্ল্যাটফর্ম) লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারণ করে দেয়া ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের শর্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসএমই প্ল্যাটফর্মের শেয়ারে মূল মার্কেটের কোম্পানির শেয়ারের মতো অবিলম্বে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, আগামী তিন মাসের জন্য সর্বনি¤œ ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগে বিএসইসির বেঁধে দেয়া শর্ত স্থগিত থাকবে। গত ১৩ নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে যে কোনো বিনিয়োগকারী এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) অবিলম্বে এসএমই প্ল্যাটফর্মের শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার নির্দেশ করা হয়েছে।
গতকাল এ আদেশের কপি বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস অব বাংলাদেশ (আরজেএসসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) কাছেও হাইকোর্টের আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রিট পিটিশন দায়েরের পর বিএসইসির কাছে এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগসীমার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তিন মাসের জন্য এসএমইতে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের শর্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ এসএমই প্ল্যাটফর্মের বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়, এসএমইতে লেনদেনে যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে শেয়ারবাজারে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) ওটিসি মার্কেট বাতিল করে কমিশন। ওইদিন কমিশন সভায় ২৯ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ৪১টি কোম্পানিকে এসএমই ও এটিবিতে (অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে এসএমইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ১৫টি। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে।