নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যা শুরুর তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা আগে বন্যার পূর্বাভাস মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার পানি ভবনে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাহিদ ফারুক বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যমান আগাম পাঁচ দিনের বন্যা পূর্বাভাস উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ করে এ কাজ করা হচ্ছে। উন্নততর প্লাবন মানচিত্রের সাহায্যে বন্যা শুরু হওয়ার তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা সময় আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
প্রান্তিক জনসাধারণের কাছে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পৌঁছাতে এসএমএস পদ্ধতিতে পূর্বাভাস পাঠানোর বিষয়টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সাথে চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “এই পূর্বাভাস বা আগাম সতর্কীকরণ সময় আরও বৃদ্ধির জন্য গুগলের সঙ্গে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
পলক জানান, ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদী তীরবর্তী ১৪টি জেলার ৩৮টি উপজেলায় এই কার্যক্রমটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়। ২০২০ সালে ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ১০ লাখ স্মার্ট নোটিফিকেশন বন্যাকবলিত এলাকার জনগণের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকি কমানোর কাজ চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় সহায়তা করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো), এটুআই, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা গুগল, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ।