শেয়ার বিজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এবারের বইমেলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ফেব্রুয়ারির ১৫ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত। তবে সংক্রমণ কমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে লেখক, প্রকাশক ও আয়োজকদের কথা চিন্তা করে মেলার সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, ‘কিছু সমস্যা রয়েছে দেখলাম, সেগুলো আমরা সমাধান করে নেব। আসলে আমরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। মেলা করতে পারব কি পারব না, তা নিয়ে দোলাচলের মধ্যে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মেলার সময়কাল দুই সপ্তাহ। আসলে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বইমেলা ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২৮ তারিখে শেষ হয়। কিন্তু কভিডের কারণে ১ তারিখ থেকে শুরু করতে পারিনি। ১৫ তারিখে শুরু করতে পারব বলে আশাবাদী। যদি কভিড সংক্রমণের হার কমে আসে, তাহলে চেষ্টা করব, মেলার সময় বৃদ্ধি করার জন্য। কারণ ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও অনেক স্টলের কাজ শেষ হবে না। প্রতি বছর আমরা দেখি যে, মেলা শুরু হওয়ার পর দু-চার দিন লেগে যায় মেলার পূর্ণতা লাভ করতে, এবারও তা-ই হবে। সে কারণে আমরা চাই, যেন মেলার সময়টা বৃদ্ধি করা যায়।’
মেলার স্টল, প্যাভিলিয়ন, প্রকাশকদের প্রকাশনা, ছাপাখানা সব মিলিয়ে বিশাল একটা বাজেট। সেই প্রকাশকদের জন্য কোনো বরাদ্দ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু সবার দুঃখ বুঝি। গতবার আমরা ১৮ মার্চ বইমেলা শুরু করেছিলাম, তখন লেখক-প্রকাশকসহ সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবারও সে ধরনের একটা লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে ওইভাবে আমরা কোনো প্রণোদনা দিইনি। গতবার স্টলভাড়া আমরা ৫০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছিলাম, এবারও তা-ই আছে।’
প্রকাশকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খুবই স্বাভাবিক, ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা আগ্রহ হারাবেন। প্রকাশকরা তো আগ্রহ নিয়ে বসে থাকেন এই বইমেলার জন্য। কিন্তু গত তিন বছর আমরা এই বইমেলায় করোনায় আক্রান্ত।’
মেলার সংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য বাংলা একাডেমিতে একটি বুথ হওয়ার কথা ছিল, সেটি করা হয়েছে কি নাÑসাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, সেখানে একটি বুথ চালু করতে, সেই আলোকে তারা সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছেন।’
বইমেলায় আসা দর্শনার্থীদের টিকা সনদ লাগবে কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা টিকা সনদ নিয়ে আসার জন্য বলেছি। দেখুন, যারা মেলায় আসবেন, তাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। তারা যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাহলে আমাদের জন্যও ভালো হয়। আমরা চাইছি মেলার সময় বাড়াতে। অনলাইন বুকিংয়েরও জন্যও একটা চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’
মেলার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারের চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু নয়। প্রতিবার মেলা শুরুর দু-চার দিন আগে যে অবস্থা হয়, এবারও সেই অবস্থাই আছে।’