ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের বড় শহর ক্রাইস্টচার্চ। এক হাজার ৪২৬ কিলোমিটার আয়তনের এই শহরে নিস্তব্ধতা লেগে থাকে ২৪ ঘণ্টাই। কারণটাও সঙ্গত। এ বছরের মাঝামাঝিতে জরিপে জানা গেল, শহরটির জনসংখ্যা মাত্র তিন লাখ ৭৫ হাজার! শান্ত-নিরিবিলি এই ক্রাইস্টচার্চেই সোমবার ভোরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
এ লড়াইয়ের আগে অবশ্য সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। অতীত যে প্রেরণা জোগাচ্ছে তাদের! নিউজিল্যান্ডের শক্তির দূরত্বে বেশ পিছিয়ে থাকলেও সর্বশেষ মুখোমুখি হওয়া আটটি ওয়ানডে ম্যাচ অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। যার সাতটিতেই জিতেছে লাল-সবুজের দল। কিন্তু ম্যাচগুলো হয়েছে চেনা পরিবেশে। ঘরের মাঠে কিউইদের দুবার হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।
সব ধারাবাহিকতাই এখন দেখতে পাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার আর বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন বেশ কঠিন। কিন্তু এবার জয়ের জন্যই খেলবে দল। যা কিনা আগে দেখা যায়নি। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় বেশ ধুঁকেছে এশিয়ার দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।
তাইতো ইতিহাস মাশরাফির দলের হয়ে কথা বলছে না। কিউইদের সঙ্গে ওয়ানডেতে হেড টু হেড দারুণ একপেশে। ২৫ বারের মধ্যে আটটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ১৭টিতে জয় নিউজিল্যান্ডের। চার টি-টোয়েন্টির সবকটিতেই হারে বাংলাদেশ। আবার দু’দল ১১টি টেস্ট খেলেছে। যার আটটিতে হার মানে টাইগাররা। বাকি তিনটি টেস্ট ড্র হয়।
অবশ্য পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পিছিয়ে নেই। দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান রস টেলরের। ১৭ ওয়ানডে খেলে তিনি করেছেন ৬৩৮ রান। এরপরই আছেন তিন টাইগার ক্রিকেটার। মুশফিকুর রহীম ১৮ ম্যাচ খেলে কিউইদের বিপক্ষে করেছেন ৩৬০ রান। সর্বোচ্চ ৯০। গড় ২২.৫০। সাকিব আল হাসান শতরানও পেয়েছেন কিউইদের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৩৫২। সর্বোচ্চ ১০২।
এরপরই আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যিনি ম্যাচ গড়াপেটার নিষিদ্ধ জগতে গিয়ে এখন জাতীয় দলের বাইরে। অ্যাশ ১৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৩৫ রান। সফল তামিম ইকবালের ব্যাটও। এই ড্যাশিং ওপেনার ১৩ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩২৯ রান।
কিউইদের বিপক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল সাকিব আল হাসান। এই স্পিনার ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ উইকেট। গড় ২১.০৩। তবে তারচেয়েও সফল পেসার রুবেল হোসেন। মাত্র ৯ ম্যাচে তিনি তুলে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট।
সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত অর্জনে কিউইদের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। অতীত হয়তো প্রেরণা দেয়; কিন্তু ক্রিকেট মাঠে প্রতিটি ম্যাচই নতুন। এখানে সাফল্য পেতে হলে সে দিনটা নিজেদের করে নিতে হয়। মাঠের সে লড়াইয়ে এবার কেমন করে মাশরাফি-মুশফিকের দলÑতা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ
ওয়ানডে
তারিখ ম্যাচ বাংলাদেশ সময়
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ প্রথম ওয়ানডে ভোর ৪টা
২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডে ভোর ৪টা
৩১ ডিসেম্বর তৃতীয় ওয়ানডে ভোর ৪টা।
টি-টোয়েন্টি
তারিখ ম্যাচ সময় (বাংলাদেশ)
৩ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রথম টি-টোয়েন্টি দুপুর ১২টা
৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সকাল ৮টা
৮ জানুয়ারি তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সকাল ৮টা
টেস্ট সিরিজ
তারিখ ম্যাচ সময় (বাংলাদেশ)
১২ জানুয়ারি প্রথম টেস্ট ভোর ৪টা
২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় টেস্ট ভোর ৪টা।