শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনে কাতারে ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় কাতার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে এত অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগেসি ও বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করে জানান, হতাহতের সঠিক সংখ্যা আমার জানা নেই। যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন প্রোগ্রাম পিয়ার্স মরগ্যান আনসেন্সরর্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করে থাওয়াদি বলেন, এই সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের মধ্যে হবে। তবে একেবারে সঠিক তথ্য আমার জানা নেই। একজনের মৃত্যুই অনেক কিছু, এটি খুব স্বাভাবিক। প্রতিবছর আমাদের দিক থেকে আমরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোর উন্নতি করেছি, বিশেষ করে বিশ্বকাপ আয়োজনে আমরা যে জায়গাগুলোয় দায়বদ্ধ।
থাওয়াদির সাক্ষাৎকারের পরে ফেয়ার স্কয়ারের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নিকোলাস ম্যাকগিহান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মিডিয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ঘোষণা করা অস্পষ্ট পরিসংখ্যান নয়, আমাদের সঠিক তথ্য ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দরকার। ফিফা ও কাতারের কাছ থেকে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার। কোথায়, কখন, ও কীভাবে ওই শ্রমিকরা মারা গেছেন এবং তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কি না, এসব বিষয় নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই।
এর আগে গত বছর দ্য গার্ডিয়ান একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, ২০১১ সালে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার পর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাÑএ পাঁচ দেশ থেকে যাওয়া ছয় হাজার ৫০০ শ্রমিক মারা গেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার-বিষয়ক প্রধান স্টিভ ককবার্ন বলেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে মারা যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাকে ঘিরে বিতর্ক এখনও চরম বাস্তবতা প্রকাশ করছে। শোকাহত পরিবারগুলো এখনও সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে। গত এক দশকে হাজার হাজার শ্রমিক কফিনে বাড়ি ফিরেছে, তাদের প্রিয়জনকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।