নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি)। অভিযানে ডিএনসিআরপি টিমের সদস্যরা বাজারে দ্রব্যমূল্য সঠিক রয়েছে কি না, তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার ডিএনসিআরপির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে তিনি বলেন, আমরা তদারকি অভিযানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাজারে সরবরাহের কোনো কমতি নেই। এরপরও যদি কেউ কারসাজি করে দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রমজান মাস আসছে। ক্রেতাদের বলব, দয়া করে এক মাসের বাজার একসঙ্গে করবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়। এই কৃত্রিম সংকটকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটে।
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা ডিএনসিআরপির পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকিতে দেখা গেছে, রমজানকেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা ও চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।
এর আগে অভিযানে আল্লাহর দান ফল ভাণ্ডার নামের এক দোকানের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। করমচাতে রং লাগিয়ে চেরি ফল হিসেবে বিক্রির অভিযোগে দোকানটিকে এ জরিমানা করা হয়?। এছাড়া মুরগির বাজারের প্রতিটি দোকানের মূল্যতালিকায় ব্রয়লার মুরগির দাম পাঁচ টাকা কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয় অভিযান থেকে।
অভিযানে ডিএনসিআরপির সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অন্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।