প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

কারণ ছাড়াই দর বাড়ছে ড্রাগন সোয়েটারের

নিজস্ব প্রতিবেদক; বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর বাড়ার কোনো কারণ নেই। কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।
সূত্রমতে, কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ২৭ নভেম্বর ডিএসই নোটিশ পাঠায়। কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানায়।
গত ৯ কার্যদিবসের মধ্যে এক দিন বাদে আট দিনই বেড়েছে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ারদর। গত ১৫ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা, যা ২৭ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ টাকা ১০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ছয় টাকা ৭০ পয়সা। এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক ২৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭১টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৪৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট কোটি ৬৭ লাখ এক হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। ২০১৪ সালের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১৮ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৩৭ পয়সা ও ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল আট কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছরে মুনাফা ছিল আট কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইপিএস ছিল ৬২ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ১৭ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ১৪ পয়সা। এনএভি কমেছে দুই টাকা ৬৮ পয়সা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৭ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার।