প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

কারণ ছাড়াই বাড়ছে শ্যামপুর সুগারের শেয়ারদর

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বাড়ার কোনো সঙ্গত কারণ নেই। কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)।

সূত্র মতে, কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএসই নোটিশ পাঠায়। কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে কোম্পানির কতৃপক্ষ জানায়।

গত নয় কার্যদিবসের আটদিনই বেড়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর। গত ২৩ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা, যা ৫ ডিসেম্বর তা বেড়ে দাড়ায় ১৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ছয় টাকা ৪০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই।

উল্লেখ্য, ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে নয় দশমিক ৬৬ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। ওই দিন ৩১ হাজার ৬৭৩টি শেয়ার মোট ৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর পাঁচ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৬ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৯ টাকা ৭৬ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যে দায় দাঁড়িয়েছে ৫৮৭ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৫২ পয়সা ও ৫২৯ টাকা ২০ পয়সা। ওই বছর কোম্পানিটি করপরবর্তী লোকসান হয়েছে ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা। ২০১৫ সালেও বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষনা করেছিল। ওই সময় করপরবর্তী লোকসান হয়েছিল ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা আগের বছর লোকসান ছিল ৩৩ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি টাকা।

জুন ক্লোজিং কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রন্তিকে করপররর্তী লোকসান করেছে আট কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৬ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩ টাকা ৪৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়েছে দুই টাকা ৬৮ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার  প্রতি সম্পদমূল্যে লোকসান হয়েছিল ৬০৩ টাকা ৭৮ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৫৮৭ টাকা ৬২ পয়সা। তৃতীয় প্রন্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৮ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি লোকসান কমেছে পাঁচ টাকা ৪৭ পয়সা। কোম্পানিটির মোট ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার।