সামী আল সাদ আওন, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে শীতের ছোঁয়া লাগে নভেম্বর মাসে। যা স্থায়ী হয় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হালকা শীতের আবির্ভাবে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য যেন হাজার গুণ বেড়ে যায়। শীত-সকালে ঘাসের উপর একেক ফোঁটা শিশিরকণার উজ্জীবনী শক্তি হীরক খণ্ডকেও হার মানাবে। মনে হয় হীরকের দেহে জেগেছে প্রাণের স্পন্দন। শীতের সকালের ইবির ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
শীতকালে ভোরে শিক্ষার্থীদের চলাচল তুলনামূলক কম থাকে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী কাঁথা-কম্বলের আলিঙ্গনে নিজেকে ঠান্ডা থেকে আড়াল করে। আবার অনেকে বের হয় কুয়াশার সকাল অনুভবের উদ্দেশ্যে। প্রকৃতি যেন আবছা হয়ে আসে চারদিকের কুয়াশায়।
এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে খেজুর রস খাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। ভোরবেলা দলে দলে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে পড়ে খেজুর রসের উদ্দেশ্য। দুপুরটা বরাবরের মতো হলেও বিকালে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। শীত পিঠা ও নানা রকমের খাবারের আয়োজনে জমে উঠে জিয়ার মোড় সড়কটি। বিক্রি হয় শীতের পোশাক সহ নানা সামগ্রী।
ইবির ছাত্র হলগুলোর সামনে সারারাত ধরে ব্যাডমিন্টন খেলায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। দেখে মনে হয় যেন কালো আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে সাদা পাখিদের দল, যাদের পালকের আলোচ্ছটা আমাদের মন–চোখ রাঙায়।
কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের আঁধারে আগুন জ্বালিয়ে ফায়ার ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা ও গান-কবিতা। শিক্ষার্থীদের আড্ডায় শতদিনের জমানো কথাগুলোর মাধ্যমে ভাগাভাগি নেয় নিজেদের সুখ-দুঃখ। শিক্ষার্থীরা এভাবেই পার করে দেয় শীতের এই কয়েকটি মাস।
কুয়াশাঘেরা রূপের মাধুর্য নিয়ে শীত আসে ইবি প্রাঙ্গনে। শীতের সকালের সবটুকু সৌন্দর্যই যেনো সৃষ্টিকর্তা ঢেলে দিয়েছেন এই ১৭৫ একরের বুকে।