নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ারদর ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৯৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৯৪ টাকা ৩০ পয়সা। শেয়ারদর ৩৯০ টাকা থেকে ৪১১ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়। ওইদিন ২৩ হাজার ৯২০টি শেয়ার মোট ৫০৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৯৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩২২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৭ টাকায় ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩২২ টাকা থেকে ৪৯৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৭৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৯ টাকা এক পয়সা ও ৩২ টাকা ৩৫ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ২০ ডিসেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে তিন টাকা পাঁচ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৪ টাকা ৮১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে তিন কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল ৯ টাকা এক পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৩৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৯ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির এক কোটি এক লাখ ৫৬ হাজার ২৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৯ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।