প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ক্যালিফোর্নিয়ায় ফের বন্দুক হামলা, নিহত ৭

শেয়ার বিজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ফের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। খবর: রয়টার্স।

ক্যালিফোর্নিয়ার এক শহরের দুই জায়গায় নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে হাফ মুন বে শহরে গুলিবর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এ উপকূলীয় শহরটিতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহতের পর সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে টুইটারে জানিয়েছে স্যান মাটেও কাউন্টি শেরিফের দপ্তর।

স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল শেরিফ দপ্তরের বিবৃতি উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর এক ডেপুটি স্যান মাটেও কাউন্টি শেরিফ বিভাগের একটি সাবস্টেশনের পার্কিং লটে সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীর গাড়িটি দেখতে পান, তদন্তকারীরা সেখান থেকে ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়। গুলিবর্ষণে ব্যবহƒত অস্ত্রটিও তার গাড়িতে পাওয়া যায়।

একটি ফোন কল পেয়ে শেরিফ দপ্তরের ডেপুটিরা হাফ মুন বে-র প্রথম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান চারজন মারা গেছেন এবং পঞ্চমজন আহত হয়ে পড়ে রয়েছেন, তারপর কাছেই আরেকটি জায়গায় আরও তিনজনকে মৃত অবস্থায় পান তারা। এ দুই জায়গার মধ্যে এক ঘটনাস্থল একটি মাশরুমের খামার বলে জানিয়েছে ক্রনিকল।

এর আগে শনিবার রাতে হাফ মুন বে থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির মন্টেরি পার্ক শহরে নির্বিচার গুলিবর্ষণের আরেকটি ঘটনা ঘটে, শেষ খবর পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনা চান্দ্র নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত রোববার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে টোরেন্সে সন্দেহভাজন আত্মহত্যা করেন। সন্দেহভাজনকে এশীয় বংশোদ্ভূত বৃদ্ধ হু ক্যান ট্রান (৭২) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কী কারণে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৮ বছর বয়স হলে বন্দুক কিনতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। ২০২২ সালে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে দেশটিতে। কখনও চার্চে ঢুকে, কখনও স্কুলে, কখনওবা শপিং মলে, অথবা ভিড়ের মাঝে বন্দুক হামলা চলছে। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। এ ধরনের হামলা থেকে মুক্তি পেতে বিক্ষোভও হয়েছে দেশটিতে। দেশটির আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে। সুফল মিলছে না কিছুতেই।

পুলিশ ও প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতে থামছে না এমন ঘটনা।