প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ক্রিস হিপকিন্স নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ক্রিস হিপকিন্স। জেসিন্ডা অরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। খবর: রয়টার্স।

গত শনিবার লেবার পার্টির নেতৃত্বের জন্য একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর হিপকিন্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। কভিড-১৯ মহামারির সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

আজ রোববার লেবারদলীয় ৬৪ আইনপ্রণেতার বা ককাসের বৈঠকে হিপকিন্সের (৪৪) নেতা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

দলের নেতৃত্বের জন্য একমাত্র প্রার্থী হিসেবে হিপকিন্সের নাম ঘোষণার পর হিপকিন্স বলেন, আমি মনে করি আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দল। আমরা ঐক্যের মধ্য দিয়ে এ ধারা বজায় রেখেছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের চমৎকার নেতাদের একটি দলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে নিজেকে সত্যি খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের জনগণের সেবা করার সত্যিকারের মনোভাব রয়েছে তাদের।

গত বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন জানান, দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো আর ক্ষমতা নেই তার। সে কারণে তার সরে দাঁড়ানো উচিত বলে জানান জেসিন্ডা।

হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে তিনি অরডার্ন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। একই বছরের নভেম্বরে কভিড মোকাবিলা-বিষয়ক মন্ত্রী হন। মহামারির সময় নিউজিল্যান্ড সরকারের নেয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়ে হিপকিন্স একটি পারিবারিক নাম হয়ে উঠেছিলেন।

বর্তমানে তিনি পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন, পাশাপাশি পার্লামেন্ট নেতা।

হিপকিন্স লেবার দলের নেতা নির্বাচিত হলে অরডার্ন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। তখন গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

হিপকিন্স কত দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা নির্ভর করছে অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনের ওপর। নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয় হলে তিনি মাত্র আট মাস এ দায়িত্বে থাকবেন, আর বিজয়ী হলে দায়িত্ব দীর্ঘায়িত হবে।

হিপকিন্সের মনোনয়নে বিচারমন্ত্রী কিরি অ্যালানের নিউজিল্যান্ডের প্রথম মাওরি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বিলীন হয়ে গেছে।