নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) সম্পন্ন করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হলো আমান ফিড লিমিটেড ও ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি) লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী আমান ফিড লিমিটেড রেটিং পেয়েছে ‘এ২’। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত ব্যাংকের দায়ের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
ইমাজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের (ইসিআরএল) রেটিং অনুযায়ী ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘ইসিআরএল-২’। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমান ফিড ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ১৮ পয়সা।
২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই সময় ইপিএস ছিল পাঁচ টাকা সাত পয়সা এবং এনএভি ছিল ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৯৭ পয়সা ও ৩০ টাকা ৭৭ পয়সা।
ওই সময় কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৩০ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
গতকাল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ বা এক টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৬ টাকা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪১টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯১ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা চার পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩৭ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ৩৪ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ এনএভি বেড়েছে এক টাকা ৪২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৫৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭০ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮০ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়। এদিন চার লাখ ৫৩ হাজার ৩৫টি শেয়ার মোট ৮৯৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৬৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭০ টাকা থেকে ১০২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়।