নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান পরিবর্তনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি বাতিল করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার এ প্রস্তাবকে সমর্থন করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাদের সংবিধান তৈরি করার কোনো অধিকার ছিল না। বর্তমানে দেশে তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনই প্রমাণিত করে এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাবে আছে- দুইবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এই প্রস্তাবে দুইবারের বেশি কেউ মন্ত্রী ও এমপি হতে পারবেন না, এ পর্যন্ত বিস্তৃত করলে রাজনীতিবিদরা তো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু তার আগে প্রস্তুতি নিতে হবে। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা, প্রতিহিংসার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তন ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। আগামীতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একদলীয় লোকেরা এ সংবিধান তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র দুজন সদস্য সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। তারা কেউই সেই সংবিধানে সই করেননি। তাই এটি একনায়কদের সংবিধান। এ সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া না করে পুরোটাই ফেলে দিন। নতুন করে একটি সংবিধান তৈরি করুন। যেখানে মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বলবো- আপনারা ঘোষণা দিন ক্ষমতায় গেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবেন। বর্তমান সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তাই সবার মতামত নিয়ে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এ্যাবের আহ্বায়ক রশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হেসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।