শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। শুক্রবার দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন লকহিডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মেরিলিন হেইসন। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে স্টিলথ ফাইটারের দাম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। খবর এএফপি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে স্বভাবসুলভ কঠোর সমালোচনা করেন লকহিডের। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের দাম ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এ কারণে প্রতিষ্ঠনটির শেয়ারদর কমেই চলেছে।
মেরিলিন হেইসন বলেন, সাক্ষাৎকালে প্রেসিডেন্ট ভবিষ্যতে তৈরি এফ সিরিজের পরবর্তী যুদ্ধবিমানগুলোর দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের জন্য বেশি করে নতুন কর্মসংস্থানের আহ্বান জানান।
ট্রাম্প টাওয়ারে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি আরও বলেন, টেক্সাসে লকহিডের ফোর্ট ওর্থ কারখানায় আমরা এক হাজার ৮০০ নতুন কর্মী নিয়োগ দেবো। এভাবে ৪৫টি রাজ্যে পর্যায়ক্রমে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়ার কথা বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জানতে চেয়েছেন এফ-৩৫-এর দাম কমাতে আমরা কী করতে পারি। আমরা এ বিষয়ে তাকে কিছু ধারণা দিয়েছি, তা ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাই আমাদের সাক্ষাৎ ফলপ্রসূই বলা যায়।
বোয়িং, ফোর্ড, জিএম ও টয়োটার মতো লকহিডও ট্রাম্পের টুইট-আক্রমণের শিকার হয়। টুইটারে ট্রাম্প বলেছিলেন, এসব কোম্পানি মেক্সিকোতে কারখানায় উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করার ‘পাঁয়তারা’ করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর লকহিডের মতো অন্য কোম্পানিগুলোও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে। ফোর্ড মেক্সিকোয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত বদলে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বৈদ্যুতিক মোটরগাড়ি কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো এবং এখানে ৭০০ কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
গত মাসে টুইটারে ট্রাম্প বলেছেন, এফ-৩৫ প্রকল্প এবং এটির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টোর দায়িত্ব গ্রহণের পরই দ্রুততম সময়ে সামরিক বাহিনীর জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের এফ সিরিজের যুদ্ধবিমান কেনার বিষয় পুনর্বিবেচনা করবেন।
বর্তমানে লকহিড থেকে দুই হাজার ৪৪৩টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৩৭৯ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি রয়েছে মার্কিন সরকারের। এটির বেশিরভাগ ব্যবহার করবে দেশটির বিমানবাহিনী। ২০৭০ সালের মধ্যে এগুলোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে লকহিডের পাওনা এক দশমিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।