প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

খুলনায় বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনার তিন থানায় নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মোমরেজুল ইসলাম বলেন, খুলনার বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা তিন থানায় দায়ের করা মামলায় ৬১ নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন।

গত ২২ জানুয়ারি তারা খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। আদালত নথি তলব করে গতকাল রোববার শুনানির দিন ধার্য করেছিলন। ৬১ জনের মধ্যে একজন অসুস্থ থাকায় ৬০ জন আদালতে হাজির হন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। আর বাকি ৪৭ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, খুলনার বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা থানার পৃথক তিনটি মামলায় পাইকগাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক, বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম জনি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক, জলমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামানসহ ৪৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নেতাকর্মীদের আটক রেখে সরকার বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে চায়। যাতে সমাবেশ সফল করতে না পারি সে জন্য এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুরাইয়দসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। এছাড়া বিএনপির সমাবেশের দিন হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করেছে, যাতে আমাদের সমাবেশ সফল না হয়। কিন্তু বিএনপি এখন জনগণের দল। যার প্রমাণ খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে লাখ লাখ জনতার উপস্থিতি। নেতাকর্মীদের আটকে রাখার পরও আমরা সফলভাবে বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছি আমরা। জেল-জুলুম, ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা সবকিছু উপেক্ষা করে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে ঘরে ফিরবে।