প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুর সিটির নির্বাচনে ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩ কেন্দ্রের বেসরকারি ফল ঘোষণা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ফল জানানো হয়। এতে দেখা যায়, নৌকা মার্কার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯২ ভোট। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন ৬৩ হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।
গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ভোটের ফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল প্রকাশে দেরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। গতাকল সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মাকে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন। সেই হিসাবে মায়ের ভোটটা যেন আমানত থাকে, ভালো থাকে। গাজীপুরের মানুষ নিজ ইচ্ছায় গিয়ে মাকে ভোট দিয়েছেন। আমি এসেছি ইভিএম থেকে যে পেপারটা বের করে সেটা যেন আমার হাতে দেয়, কোনো হাতে লেখা কাগজ যেন আমাকে দেয়া না হয়। জনগণের রায় যেন হাতে লিখে না দেয়া হয়। কোনো ধরনের যেন টেম্পারিং না হয়।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেনÑনৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।