প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইয়ের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনস্বার্থে গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সই করা চিঠি গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের চিঠিতে বলা হয়, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চিঠিতে জসিম উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কাক্সিক্ষত উন্নয়নের পথে দৃপ্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আপনার বিচক্ষণ পরিকল্পনা ও আন্তরিক প্রয়াস আমাদের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম অগ্রসরমাণ অর্থনীতি। আপনার সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার সুষম বাস্তবায়নের ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ।

জসিম উদ্দিন লিখেছেন, আপনার দিকনির্দেশনা ও বিচক্ষণ পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রয়াসে কভিড-পরবর্তী বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যখন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, সে মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। আপনার ঘোষিত ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়ন, এসডিজি অর্জন ও ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমিতে পদার্পণ করতে আমাদের অধিকতর বিনিয়োগ ও টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই। চাহিদা অনুযায়ী, স্পট মার্কেট থেকে জ্বালানি গ্যাস কেনা হলে উৎপাদন খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার শর্তে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ক্যাপটিভের ক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য প্রতি কিউবিক মিটার ১৬ টাকার স্থলে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা অর্থাৎ ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

তবে ক্যাপটিভ খাতে গ্যাসের মূল্য ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে ব্যবহƒত গ্যাসের বর্তমান হার যথাক্রমে ১১ দশমিক ৯৮, ১১ দশমিক ৭৮ ও ১০ দশমিক ৭৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সব স্তরে একই হার ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহƒত গ্যাসের মূল্য ৫ দশমিক শূন্য দুই টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪ টাকা করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন মূল্য কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী, কভিড মহামারি ও ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, উৎপাদন উপকরণসহ সব খাতে ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে সার্বিক পরিবহন ব্যয় এবং মুদ্রা বিনিময় হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনার খরচ অত্যধিকভাবে বেড়ে চলেছে। এতে শিল্প কারখানাগুলো সচল রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।