প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে ব্যাংকটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। আর এক্ষেত্রে যেসব বাধা বা মামলা রয়েছে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নতুন বছরের প্রথম দিনে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এর আগে কেক কেটে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গক্রমে বছর শেষ ও নতুন বছর উদ্যাপন করতে না পারার হতাশা ব্যক্ত করে মুহিত বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা ইয়ার এন্ডিং উদ্যাপন করতে পারি না। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মনে হয়েছে, শহর যেন মৃত। মানুষ ঘরে চলে গেছে। গাড়ি-ঘোড়া চলছে না। নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সেটিকে কাটিয়ে উঠে আমরা যদি সফলভাবে বছর উদ্যাপন করতে পারতাম, তবে ভালো হতো।’

গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন এর দুটি উদ্দেশ্য ছিল। একটি হলো, ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়া এবং তাদের ঋণ ফেরত দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। এখন এটি শতভাগ সফল। মানুষ ঋণ নেয় এবং তা ফেরতও দেয়। ‘আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিই তখন গ্রামীণ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪০ শতাংশ। এখন এই হার ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সহনীয়। ’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি নতুন করে ভূমিকা সৃষ্টি করতে চাই। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা এখন ঠিকমতো ঋণ পরিশোধে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এখন সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের যে বিধান রয়েছে, সেটা তুলে দেওয়া হবে।’

‘নতুন বছর কেমন যাবে’Ñসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের মতো নতুন বছরও ভালো যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জটিল কিছু দেখছি না। তবে নতুন বছরে আমাদের চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ বাড়ানো। এ বছরে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একই গতিতে থাকবে।’