শেয়ার বিজ ডেস্ক : টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ঢাকায় ১১ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে গ্রামে ১৮.৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেয়ায় এইখাতের ২৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
৩ নভেম্বর, সোমবার, রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো নীতিমালা অনুযায়ী ইন্টারনেটের দাম বাড়ার কারণ ব্যখ্যা করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল হাকিম।
অ্যকুইজেশন এ লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে লাইসেন্সে আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি সাড়ে তিন গুণ বাড়ছে। স্টারলিংকের অ্যকুইজেশন ফি ১২ লাখ টাকা হলেও আইএসপিদের জন্য ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ভুল পথে এগুচ্ছে। লাইসেন্স গাইডলাইনে জন আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি। সমাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যে দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই ব্যবসায় এলেও তাদের মুনাফা নয় আয়ের ওপর রেভিনিউ ও এসওএফ ফান্ড চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, স্টারলিংকের সঙ্গে আইএসপি বৈষম্য এতো কেন? টেলিকম অপারেটরদের লাইসেন্সে চেয়ে বেশি সুবিধা কেন?
প্রশ্নের উত্তরে আমিনুল হাকিম বলেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে গ্রাহক পর্যায়ে গড় ইন্টারনেট মূল্য বাড়বে ২০ শতাংশ, ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাড়বে ১৪ শতাংশ।
পাশের তিন মাসের মধ্যে গ্রামের আইএসপি বন্ধ হবে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতির কারণে আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে টেলিকম খাতে হস্তক্ষেপ কামনা করি।
আইএসপিএবি সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব ১, যুগ্ম মহাসচিব ২ মাহবুব আলম ও ফুয়াদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ রাশেদুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠু হাওলাদার, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এস এস/
প্রিন্ট করুন








Discussion about this post