প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যওয়ার্ড পাচ্ছেন সাহানোয়ার সাইদ শাহীন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম বড় যুব সংগঠন গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট এর “গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যওয়ার্ড ২০২৩” এর জন্য মনোনিত হয়েছেন বাংলাদেশের সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। যুবকদের উদ্বুদ্ধকরণ, সামাজিক আন্দোলন ও কৃষিতে সচেতনতা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ এ পুরস্কারে মনোনিত হয়েছেন।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গত ২০ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের সেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরন এবং গত এক যুগ ধরে সাংবাদিকতার মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছেন। চলতি বছরের মার্চে দুবাইতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব নেতৃত্ব সম্মেলনে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

জানা গেছে, গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুবকদের উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনাকারীদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে সংগঠনটি। এছাড়া সংগঠনটি তরুণদের সামাজিক কাজ, উদ্যোক্তা তৈরি, গণতন্ত্র, উন্নত বিশ্বের জন্য টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রতি বছর “গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট” এর মাধ্যমে অনুপ্রেরণাদায়ী তরুণদের তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে “গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যওয়ার্ড ২০২৩”, “দি এমার্জিং লিডার অ্যওয়ার্ড ২০২৩” এবং “গ্লোবাল ইয়ুথ অন্ট্রাপ্রিনিওয়রশিপ অ্যওয়ার্ড ২০২৩” এই তিন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন তরম্নণদের পুরস্কার প্রদান করা হবে।

জানা গেছে, সমাজের দুটি ক্ষেত্রে উলেস্নখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাহানোয়ার সাইদ শাহীন এবারের “গেস্নাবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যওয়ার্ড ২০২৩” এর জন্য মনোনিত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম সেচ্ছায় রক্তদানে তরম্নণদের উদ্বুদ্ধ করা। সেচ্ছায় রক্তাদাতের সংগঠন বাঁধন এ গত ২০ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকে এ সংগঠনে যুক্ত তিনি। সংগঠনটি গত বছরে প্রায় ৬০ হাজার ইউনিট/ব্যাগ রক্ত সংগ্রহের মাধ্যমে সেচ্ছায় রক্তদানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রক্তদাতা সংগঠনে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৭৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাঁধন। তিনি এ সংগঠনে বিভিন্ন সময়ে ইউনিট সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, জোনাল উপদেষ্ঠা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন বাঁধনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠার দায়িত্ব পালন করছেন।

গত এক যুগ ধরে প্রতিবেদন ও লেখনীর মাধ্যমে কৃষিতে সচেতনতা তৈরি, সামাজিক আন্দোলন ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছেন। ২০২২ সালের আগষ্ট থেকে তিনি কালের কণ্ঠে জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কালের কন্ঠে যোগদানের আগে তিনি প্রায় এক যুগ বণিক বার্তায় ছিলেন। গত এক যুগের বেশি সময়ে দুই হাজারের বেশি কৃষি বিষয়ক প্রতিবেদন ও লেখনি প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কৃষি খাতে নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি ২০১১ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন।