শেয়ার বিজ ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ইংল্যান্ডের জার্সির দাম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ পাউন্ডে। জার্সির বর্তমান দাম মূল্যস্ফীতির তুলনায় বেশি বলে অভিযোগ সমর্থকদের। খবর: ডেইলি মিরর।
২০০৮ সালে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জার্সির দাম ছিল ৪০ পাউন্ড। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করলে এখনকার দাম হয় ৫৬ পাউন্ড। খেলায় ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা যে জার্সি পরেন, তার মতো দেখতে জার্সি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ পাউন্ডে। শিশুদের জার্সির মূল্য ৫৯ দশমিক ৯৫ পাউন্ড। অতিরিক্ত ১৫ পাউন্ড দিয়ে ফুটবলারদের নাম ও নম্বর লেখার সুযোগ থাকছে।
অনলাইনে বেশ কয়েকজন ক্রেতা জার্সির চড়া দাম নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাদের একজন লিখেছেন, আমি বড় ছেলের জন্য ইংল্যান্ডের নতুন জার্সি কিনতে চেয়েছিলাম। অথচ শিশুদের জার্সির দাম ৬০ পাউন্ড। আরেকজন ক্রেতা বলেন, আর্থিক সংকটের এ সময় অতিরিক্ত দাম রাখা হয়েছে, যা ক্রেতার সাধ্যের বাইরে।
এসব জার্সির ভেতরের লেবেল অনুসারে জানা যায়, থাইল্যান্ডে নাইকি কোম্পানির জন্য তৈরি করা হয় জার্সিগুলো। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা উৎপাদন সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। কভিড মহামারির আগেও এখানে জার্সি তৈরি করা হতো। গত বছর নাইকি ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয় করে। তবে এফএ জার্সি বিক্রি থেকে আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করেনি।
জার্সি উৎপাদনে নিয়োজিত থাইল্যান্ডের শ্রমিকরা ঘণ্টায় এক পাউন্ড মজুরি পেয়েছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন তারা ৩৩১ থাই বাথ (৭ দশমিক ৮০ পাউন্ড) আয় করেন। এটি থাইল্যান্ডের ন্যূনতম মজুরি। গত অক্টোবরে ন্যূনতম মজুরি ৩৫৩ বাথ (৮ দশমিক ৩০ পাউন্ড) করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন আট থেকে ১১ ঘণ্টা কাজ করেন, যা সপ্তাহের হিসাবে ৬০ ঘণ্টা। ওভারটাইমের জন্য তাদের অর্থ দেয়া হয়েছে এবং লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে তারা বোনাস পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এবারের কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে অফিশিয়াল পোশাক সরবরাহ করেছে অ্যাডিডাস। এ প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিশ্বকাপের সরঞ্জাম তৈরিকারী শ্রমিকরা দিনে ১ দশমিক ৯০ পাউন্ড মজুরি পেতেন।