শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে উৎপাদিত কফির ৫০ শতাংশই রফতানি হয়। তবে পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ না পাওয়ায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর (এপ্রিল-মার্চ) দেশটি থেকে এ পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
ভারতের কফি বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটি থেকে দুই লাখ ১৬ হাজার ৯২৬ টন কফি রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি অনেক কম।
চলতি মাসে রফতানি আরও বেশি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কফি এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট রমেশ রাজা বলেন, রফতানিকারক দেশগুলো অন্য উৎস থেকে ক্রয় করায় ক্রেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে। ইতোমধ্যে রফতানি আদেশ ব্যাপক হারে কমেছে। গত বছরের শেষদিকে প্রত্যাশার চেয়ে রফতানি আদেশ এসেছে ৩০ শতাংশ কম। যদিও বছর শেষে এ হ্রাস ১০ শতাংশে নেমে এসেছিল। চলতি অর্থবছরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কফি রফতানি কমতে পারে।
তথ্যমতে, মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ভারত থেকে মোট তিন লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টন কফি রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার ৫০০ টন রোবাস্তা কফি ও ৯৬ হাজার ২০০ টন কফি অ্যারাবিকা।
বিশ্ববাজারে রোবাস্তা কফির দাম জানুয়ারিতে বেড়ে টনপ্রতি দুই হাজার ডলারে পৌঁছায়। এর পরের মাসে তা ২০০ ডলার কমেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দাম বেড়ে টনপ্রতি দুই হাজার ১২৬ টনে পৌঁছায়।
রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যালানসনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমপি ডেভিয়া বলেন, জানুয়ারিতে বৃদ্ধির পর দাম কমতে শুরু করলে ক্রেতারা কিছুটা আশ্বস্ত হন। কিন্তু দাম আবার বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে।
প্রসঙ্গত, কফি উৎপাদনে ভারত বিশ্বে ষষ্ঠ। গত বছর দেশটি ৩৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার কেজি কফি উৎপাদন করেছে। দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে কফি উৎপাদন বেশ ভালো হয়। দেশটি মূলত রফতানির লক্ষ্যে বেশি কফি উৎপাদন করে। ইতালি, রাশিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম ও তুরস্ক ভারতীয় কফির বড় ক্রেতা। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভারতীয় কফি আমদানি করে।