নিজস্ব প্রতিবেদক: সুতা বিক্রির জন্য ছয় প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীরা এ চুক্তিতে সম্মতি জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যেসব কোম্পানির সঙ্গে মতিন স্পিনিং চুক্তি কমরছে, সেগুলো হলো ফ্ল্যামিঙ্গো ফ্যাশনস লিমিটেড, জিন্নাত অ্যাপারলেস লিমিটেড, জিন্নাত ফ্যাশনস লিমিটেড, জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড, হামজা টেক্সটাইল লিমিটেড ও মাওয়না ফ্যাশনস লিমিটেড।
আগামী দুই বছরের জন্য এ চুক্তি হয়েছে, যা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৬৪ পয়সা। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ২৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৪১ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৪ টাকা ২৪ পয়সা ও ৩৯ টাকা ৪২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৪১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
গতকাল কোম্পানিটির ৫৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০টি শেয়ার ১৩৫ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৫৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪২ টাকা ৯ পয়সা, যা একই বছর ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪১ টাকা ৬৪ পয়সা।
১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কোম্পানির ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার।