নিজস্ব প্রতিবেদক: নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্য বিএনপিকে আর জনগণ চায় না, এটা বুঝতে পেরেই তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে খুশি, তাই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন থেকেই তাই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার করছে। দেখেশুনে মনে হয় বিএনপির অবস্থা এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা, তারা কখন যে কী বলে সেটা তারা নিজেরাও জানে না।
আওয়ামী লীগ সরকার নাকি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেÑবিএনপি মহাসচিবের এমন কাল্পনিক অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ নয়, জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপিই এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলে আবার আগামী জাতীয় নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্য হাস্যকর মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য নয়।
শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিচিতি পেয়েছে এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, জনগণের ওপর আমাদের আস্থা শতভাগ, কাজেই নির্বাচন নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আসলে নির্বাচন নির্বাচন খেলা বিএনপিই ভালো বুঝে, তারা নিজেরা যা ভাবে অন্যের বেলায়ও তা মনে করে। নির্বাচন নির্বাচন খেলা তো বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খেলেছিল। মাগুরা ও ঢাকা-১০-এ খেলেছিল, বিএনপি ভুলে গেলেও দেশের মানুষ এখনও তা ভুলেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের ওপর আস্থা রাখুন, নির্বাচনে আসুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। এ সময় মার্সি টেম্বন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিতে যে ইতিবাচক অগ্রগতি ও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বব্যাংক গর্বিত।
সাক্ষাৎকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় সড়কের নিরাপত্তার জন্য যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।