নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেডের ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির করপোরেট পরিচালক এ জে করপোরেশন লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির করপোরেট পরিচালক এ জে করপোরেশন লিমিটেড আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান বাজারদরে ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে ১০ লাখ শেয়ার কিনবে।
কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক পয়সা। আর ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯১ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে দুই পয়সা। এর আগে সর্বশেষ ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা এক পয়সা এবং ২০১৮ সালের ৩০ জুনে তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছিল ১২ টাকা ৬০ পয়সা। আর ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৯৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৭১ কোটি এক লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৫। মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ২৩ দশমিক ০২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৬৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক পয়সা কমেছে। জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে এক পয়সা।
আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল এক পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৪ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা ৯১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩৪ পয়সা, অথচ আগের বছর একই সময়ে ছিল তিন পয়সা (ঘাটতি)।