নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য নগদ আর্থিক সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর ও ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোয় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা যাতে সংসার চালাতে পারেন, সে জন্য তাদের বিকল্প আয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও অভিমত প্রকাশ করেন তারা। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল (শনিবার) আয়োজিত ‘বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা: উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ সুপারিশ জানান।
কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মজিবুল হক মনির মূল প্রবন্ধে বলেন, ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষা, বিশেষ করে ইলিশ রক্ষায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। তবে নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরতে না পারায় ও বিকল্প কোনো আয়েরও সুযোগ না থাকায় প্রান্তিক অনেক জেলেকেই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার প্রতি মাসে নিবন্ধিত প্রায় চার লাখ জেলের প্রত্যেককে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে। কিন্তু অনেক জেলে এখনও নিবন্ধনের বাইরে রয়ে গেছে। এছাড়া চালের পরিবর্তে নগদ আর্থিক সহায়তা এক্ষেত্রে অধিকতর কার্যকর হতে পারে।’
কক্সবাজার মৎস্য শ্রমিক জোট নেতা মিজানুর রহমান বাহাদুর বলেন, ‘দেশের সম্পদ বাড়াতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার যে উদ্যোগ, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু দরিদ্র জেলে পরিবারগুলোকে সঠিকভাবে বাছাই করে, তাদের সংসার চালানোর জন্য প্রতি মাসে আট হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’
ভোলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনে সাগরে না গেলেও, ভারতের জেলেরা ওই সময় আমাদের এখানে এসে প্রচুর ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই নিষেধাজ্ঞার ওই সময়টি কবে হবে, কতদিন থাকবে, সেটি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে করতে হবে।’
