শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালস ডেঙ্গু প্রতিরোধী টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। খবর: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ভারতের গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জনসন অ্যান্ড জনসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি ইঁদুর ও বানরের ওপর টিকার ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে এবং তাতে সাফল্য মিলেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জ্যানসেনের ইমার্জিং প্যাথোজেন বিভাগের প্রধান নির্বাহী মার্নিক্স ভ্যান লুক।
মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, দুই বছর গবেষণার পর জেএনজি-১৮০২ নামের একটি টিকা প্রস্তুত করেছে জ্যানসেন। নতুন এ টিকার মূল কাজ হলো, মানুষ বা প্রাণীদেহে প্রবেশ করা ডেঙ্গু ভাইরাসের বংশবিস্তার থামিয়ে দেয়া। ইঁদুর ও রেসাস জাতের বানরের ওপর সেই টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
লুক আরও জানান, বানর ও ইঁদুরের দেহে প্রয়োগের পর এবার মানবদেহে এ টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনা
করতে চান তারা। তবে সেজন্য আগে এ টিকার প্রয়োগের পর মানবদেহে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে জ্যানসেন।
লুক বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি বানর ও ইদুঁরের দেহে প্রথমে ভাইরাসটি এবং পরে আমাদের টিকা প্রয়োগ করেছি। আমাদের সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে। ডেঙ্গুর সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপারটি হলোÑএ রোগের চারটি ভাইরাসের কোনো একটিতে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে সেই অবস্থায় অন্য কোনো একটি ধরনে তিনি ফের আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
এ পর্যন্ত দুটি টিকা উদ্ভাবন করা হয়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য। তার একটি হলো ডেংভাক্সিয়া। অল্প কয়েকটি দেশে এ টিকা পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের ওপর কার্যকর এ টিকাটি।
দ্বিতীয়টির নাম কোডেঙ্গা। গত বছর ডিসেম্বরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমোদন পেয়েছে এ টিকাটি। শিগগির ব্রিটেন ও ইন্দোনেশিয়া এ টিকার অনুমোদন দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।