প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

জয় দিয়ে বছর শুরু করতে চায় বাংলাদেশ

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগের দুই সিরিজে মনে রাখার মতো কিছুই নেই। এবারের সফরেও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হয়েছে ধবল ধোলাই। এমন হতাশার মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি লড়াই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে মুখোমুখি হবে দু’দল। যে লড়াই জিতে নতুন বছরের শুরুটা করতে চায় টিম বাংলাদেশ। গতকাল নেপিয়ারে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান তেমন আশাবাদী কথাই শোনালেন।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিটি ম্যাচের শুরুটা ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেষটা বার বারই হয়েছে বিবর্ণ। যে কারণে প্রায় তিন বছর পর কোনো দলের সঙ্গে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা বাহিনীকে। তবে ওসব পেছনের কথা ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চান সাকিব। বলছিলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। বেশ কিছু সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম যেগুলো নিতে পারিনি। তবে এটি নতুন একটি সিরিজ। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড দারুণ এক দল। তাদের মাটিতে আমাদের কাজটা সহজ হবে না। তবে আমাদেরও সামর্থ্য আছে ভালো খেলার এবং জেতার।’

কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের উন্নতির ছাপ দেখেছেন সাকিব। আগের দুই সফরের চেয়ে এবার বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। শেষটা ভালো না হওয়ায় ফলটা নিজেদের দিকে আসেনি বলে মনে করেন সাকিব। সহ-অধিনায়ক বললেন, ‘আমরা এখনও বিশ্বাস করি জিততে পারি। ছেলেরা দেখিয়েছে অন্তত তারা কিছু করতে পারে। আগে যে দুবার এখানে এসেছি, ভালো করতে পারিনি আমরা। এবার ফল হয়তো খুব ভালো বলছে না, তবে অনেক উন্নতির ছাপ আমরা রাখতে পেরেছি। সেটিকে ইতিবাচক ধরে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরও ভালো করতে পারি আমরা।’

গতকাল সকাল থেকে নেপিয়ারের আকাশের মুখ ছিল ভার। তাইতো প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে অনুশীলনটা ঠিকমতো করতে পারেনি বাংলাদেশ। হালকা ওয়ার্মআপ করে সফরকারী দলের ক্রিকেটাররা। শুধু তামিম ইকবাল নিজের ব্যাটিং অনুশীলনটা নেটে সারতে পারেন। এরপর হোটেলে ফিরে লাঞ্চ সেরে যে যার মতো করে ঘুরতে বের হন।

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর থেকে টাইগার ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু আপনি যখন চিন্তা করবেন, র‌্যাংকিংয়ের ১০ নম্বর দলের সঙ্গে এক নম্বরের খেলা। তখন স্বাভাবিকভাবেই এক নম্বর দলকেই এগিয়ে রাখবেন। এছাড়া এর আগে টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে চারবারের দেখায় সফরকারীদের নেই কোনো সুখবর। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলেই এখানে ছোট দলেও ভালো সম্ভাবনা থাকে। তাতেই চোখ সাকিবের, ‘ধারাবাহিক থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মোমেন্টাম হারানোর সুযোগ নেই। ওয়ানডে সিরিজে আমরা মোমেন্টাম পেলেও ধরে রাখতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতে সেটা ধরে রাখা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের।’

ম্যাকলিন পার্কের উইকেটে রয়েছে প্রচুর রান। দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্টেই কদিন আগে একটি ম্যাচে হয়েছে রান ও ছক্কার রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যুর উইকেটকে মনে করা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সেরা ব্যাটিং উইকেটগুলোর একটি। সাকিবের বিশ্বাস, এ মাঠেও হবে রানের খেলা। আর তাতে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবছে না টিম বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিক দলের সঙ্গে কাজটা যে হবে খুবই কঠিন, সেটাও মানছেন সফরকারীরা। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চ ছড়াতে পারে আজকের এই ২০ ওভারের চার-ছক্কার লড়াই!