নিজস্ব প্রতিবেদক: নামমাত্র সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ খাতের শেয়ারে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস উত্থান হয়েছে এ খাতে। এদিন খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সেবা ও আবাসন এবং বিমা খাতের শেয়ার। অপরদিকে পাট খাতে গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এরপরের অবস্থানে থাকা আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন আইটি খাতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৬টির দর বেড়েছে এবং ৪টির দর কমেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সেবা খাতের দর বেড়েছে ৩ শতাংশ। সেবা খাতে লেনদেন হওয়া ৪টি কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। ২ দশমিক ৪০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে বিমা খাত ছিল চতুর্থ স্থানে। বিমা খাতে লেনদেন হওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪টির দর বেড়েছে এবং ১৪টির কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং প্রকৌশলী খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট ও বস্ত্র খাত।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, ডিএসইতে গতকাল ৬০৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। এ হিসাবে ৯৮ কোটি ৫ লাখ টাকার বা ১৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৯১ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৭২ পয়েন্টে এবং ২২২৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৩৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৭১টির বা ২০ দশমিক ২৯ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১০১টির বা ২৮ দশমিক ৮৬ শতাংশের এবং ১৭৮টির বা ৫০ দশমিক ৮৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫৫৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৭টির এবং ৭৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।